ভারতে জন্মগতভাবে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগীদার হন পুত্র সন্তানই। তবে এবার থেকে বিবাহের পরে সেই পৈতৃক সম্পত্তির সহ-মালাকানা পাবেন বিবাহিত স্ত্রীরাও। সম্প্রতি এমনই অভিনব এবং যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল উত্তরাখণ্ড সরকার। ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে হিমালয়ের কোলে চালু হল এই আইন। যদিও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের বক্তব্য, বেশি দিন স্থায়ী হবে না এই সামাজিক ব্যবস্থা।
উত্তরাখণ্ডের জমিদারি বিলোপ এবং ভূমি সংস্কার আইনের বেশ কিছু সংশোধন করেই এই নতুন আইন প্রবর্তিত হয়েছে। যা মহিলা ক্ষমতায়নের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই নতুন আইনের মাধ্যমে উপকৃত হবেন উত্তরাখণ্ডের কমপক্ষে সাড়ে ৩ লক্ষ মহিলা।
উত্তরাখণ্ডে পৈতৃক সম্পত্তি বলতে বাড়ির থেকে আরও বেশি করে নজর টানে আবাদি জমি এবং খামার। আর সেই জমি কিংবা খামার দেখাশোনার দায়িত্ব সম্পূর্ণ একা হাতেই সামলান মহিলারা। পুরুষরা অধিকাংশ সময়েই কাজের সন্ধানে চলে যান ভিন রাজ্যে। তবে কৃষিকাজ কিংবা অন্যান্য সমস্ত কাজের দেখভাল করার পরেও জমির মালিকানা না থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না মহিলারা। পৈতৃক জমি স্বামীর নামে থাকায়, তাঁর অনুপস্থিতিতে করা যায় না ব্যাঙ্কে ঋণের আবেদনও। মহিলাদের সহ-মালিকানা দেওয়ায় এই সমস্যাতেও রেশ পড়বে এবার।
পাশাপাশি মহিলাদের সমান অংশীদারিত্ব সামাজিক চিন্তাভাবনাতেও প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক— দুই ক্ষেত্রেই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে এই সংশোধনী আইন। ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী জিডিপির দিক থেকে দ্বিতীয় দ্রুততম বর্ধনশীল রাজ্য উত্তরাখণ্ড। আর সেই উন্নতিতে প্রধান ‘জ্বালানি’-ই ছিল কৃষি। আর সেদিকেই লক্ষ্য রেখে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে বলেই জানাচ্ছে সেখানকার প্রশাসন…
আরও পড়ুন
বিপর্যয়ের এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ধ্বংসযজ্ঞ, উত্তরাখণ্ডের ছবি প্রকাশ করল নাসা
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
প্রকৃতির রোষানলে উত্তরাখণ্ড, গত তিন দশকে ৪ বার নেমে এসেছে বিপর্যয়