বিলুপ্তপ্রায় ভাষাই হোক যোগাযোগের মাধ্যম, ‘সংস্কৃত গ্রাম’ গড়ার উদ্যোগ উত্তরাখণ্ডে

এখনও অনেক বোর্ডে সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যক্রমে একটি বিষয় সংস্কৃত। তবে সারা ভারতের বুক থেকে মুছে গেছে এই সুপ্রাচীন ভাষার দৈনিক ব্যবহার। প্রতিদিনের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে সেই সংস্কৃতকেই ফিরিয়ে আনতে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প নিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। তার সাফল্যের পর এবার উত্তরাখণ্ড সরকার রাজ্য জুড়ে 'সংস্কৃত গ্রাম' বিকাশের সিদ্ধান্ত নিল।

প্রথমিকভাবে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার কিমোথা গ্রাম এবং বাগেশ্বর জেলার ভন্টোলাতে সংস্কৃতকে প্রতিদিনের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে গড়ে তুলতে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু হয়েছিল। তাতে যথেষ্টই ইতিবাচক ফলাফল আসে। আধিকারিকরা জানান, এই গ্রামের মানুষরা শুধুমাত্র দৈনন্দিন যোগাযোগই নয় বরং সংস্কৃত ভাষায় লোকসঙ্গীতও গাইছেন বর্তমানে।

এই উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পরেই উত্তরাখণ্ডের প্রায় সব জেলাতেই সংস্কৃত বিদ্যালয় রয়েছে এমন প্রতিটি গ্রামে এই প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। পরবর্তীকালে ব্লক স্তরেও এই জাতীয় গ্রাম বিকাশের পরিকল্পনা রয়েছে উত্তরাখণ্ডের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত একটি বৈঠকে হরিদ্বার ভিত্তিক সংস্থা ‘সংস্কৃত একাডেমি উত্তরাখণ্ড’কে এই দায়িত্ব দিয়েছেন ‘সংস্কৃত গ্রাম’ গড়ে তোলার।

উল্লেখ্য, এতদিন অবধি ভারতের একমাত্র ‘সংস্কৃত গ্রাম’ হিসাবে খাতায় কলমে চিহ্নিত করা হত কর্ণাটকের মাত্তুর ও হোসাল্লি গ্রামকে। এই গ্রামে সকলেই কথা বলেন সংস্কৃতে। ছোটো থেকেই তাঁদের হাতেখড়ি হয় দেবনাগরীতে। তবে কথ্য ভাষা হওয়ায় সংস্কৃতের ব্যাকরণ অপরিবর্তিত থাকলেও তার সঙ্গে মিশে গেছে স্থানীয় ভাষা কন্নড়, তেলুগু কিংবা তামিল। ভারত থেকে সংস্কৃত অবলুপ্ত হলেও এখনও সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কর্ণাটকের এই গ্রাম। এবার তার সঙ্গেই ‘সংস্কৃত গ্রাম’-এর তালিকায় যুক্ত হবে উত্তরাখণ্ডের বহু অঞ্চলও...

Powered by Froala Editor

More From Author See More