সাদা আর কালো অথবা কালো আর সাদা, যেন একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। গায়ের রং দিয়ে বৈষম্য হয় না। অথচ বহু মানুষের মনে সাদা আর কালোর এক আশ্চর্য তফাতের প্রবণতা দেখা যায়। এ-প্রবণতা একদিনের নয়, ছোট থেকেই কারও কারও মগজে রঙের পার্থক্য দিয়ে মানু্ষকে বিচার করার প্রবণতা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সাদা-কালোর লড়াইয়ে পৃথিবী আজ ভালো নেই। বহু বিখ্যাত মানুষকে গায়ের রং কালো হওয়ায় সহ্য করতে হয়েছে চূড়ান্ত অসম্মান। কিন্তু এসব আর নয়, নিউইয়র্কের লিটিল সান পিউপিল নামের একটি নার্সারি স্কুলে এবার রেসিজমের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর শিক্ষা দেওয়া শুরু হল।
রেসিজমকে নিয়ে গোটা পৃথিবীতেই কম বেশি সমস্যা রয়েছে। তাই এই স্কুলে যে কোনো জাতির যে কোনো রঙের ছেলেমেয়েরাই ভর্তি হতে পারে। আর কোনো বিভেদ নয় সাদা-কালোয়। এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এক মহিলা। গায়ের রঙের ফারাক ভুলে একসঙ্গে বড় হওয়াই জীবনের লক্ষ্য বলে মনে করেন তিনি।
এই বিদ্যালয়ে একই সঙ্গে ছবি আঁকেন যে-কোনো জাতির ছাত্রছাত্রীরা। তাদের শিক্ষা দেওয়া হয় যে, প্রত্যেকের ত্বক, প্রত্যেকের চোখ, চুল একইরকম ভাবে সুন্দর; রং যা-ই হোক না কেন! শিক্ষকরা তাঁদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা শুনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেন।
বাস্তবে জীবন অনেক কঠিন, তাই সেখানে লড়াই করে বাঁচতে হয়। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলে রেসিজমকে আটকানোর এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। আশা করা যায়, আগামী দিনে এক সুস্থ পৃথিবী গড়ে উঠবে এসব লড়াইকে অতিক্রম করে।