যত উন্নত হয়েছে প্রযুক্তি, বদল এসেছে রেল পরিষেবায়। কমেছে দূষণ। কয়লা-চালিত ইঞ্জিন অবলুপ্ত হলেও এখনও বহু দেশেই প্রচলন রয়েছে ডিজেল ইঞ্জিনের। অন্যদিকে বিদ্যুৎ-চালিত রেল ইঞ্জিনে দূষণ ন্যূনতম হলেও ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মূল জ্বালানি কয়লা। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্পের সন্ধান দিল যুক্তরাষ্ট্রের এক সংস্থা। অপ্রচলিত শক্তির মাধ্যমেই চলবে তাদের বানানো সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব রেল ইঞ্জিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্সেস্টার-ভিত্তিক সংস্থা আল্ট্রা-লাইট রেলের প্রযুক্তিবিদরা সম্প্রতি তৈরি করেন এই অভিনব রেল লোকোমোটিভ। নাম বায়োআল্ট্রা। আর জ্বালানি? মানুষ, অন্যান্য প্রাণী কিংবা প্রাকৃতিক জৈব বর্জ্য পদার্থকে ব্যবহার করে তৈরি মিথেন গ্যাস দিয়েই চলবে এই ইঞ্জিন। তার ফলে একদিকে যেমন পরিচ্ছন্নতার বন্দোবস্ত মিটবে, তেমনই শক্তির জোগান দিতে খরচও চলে আসবে হাতের মুঠোয়।
রেলইঞ্জিনের মধ্যেই এক বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে যা বায়োমিথেনকে পরিণত করবে বিদ্যুতে। তারপর তা দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করে ঘোরানো হবে রেলের চাকা। একবার জ্বালানী ভরলে ২০০০ মাইল অবধি চলতে পারবে এই নতুন রেল। দৌড়াবে সর্বোচ্চ ৫০ মাইল গতিবেগে। নতুন এই রেলের দৈর্ঘ্যে হবে প্রায় ২০ মিটার। নতুন এই লোকোমোটিভটি ১২ টন পর্যন্ত ভারবহনে সক্ষম।
অন্যদিকে এই রেল কোচের দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় কমবে নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। ডিজেলের না ব্যবহারের জন্য নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইডও উৎপাদিত হবে না। ফলে পরিবেশের ক্ষতিকে এড়ানো যাবে সম্পূর্ণভাবেই। তবে একটিমাত্র কোচ হওয়ায় এবং ভারবহনের ক্ষমতা কম হওয়ার দরুণ, জনবহুল দেশে কতটা কার্যকরী হবে এই ট্রেন, তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে সংশয়।
Powered by Froala Editor