প্রতি বছরের মতো এবারেও উত্তর-পূর্ব ভারতের বন্যায় ঘর ভেঙেছে অনেক মানুষের। বহু মানুষ এখনও বেঁচে থাকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত পরাজয় মেনে নিয়ে বিদায় নিয়েছেন। বন্যা প্রতি বছরই আসে, এবং কাউকে কোনো আগাম সতর্কবার্তা না দিয়েই আসে। কিন্তু এবার থেকে হয়তো বন্যার আগে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পাবেন আসামের মানুষ। অন্তত সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে দি এনার্জি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। আর এই দুই সংস্থার উদ্যোগে গত মঙ্গলবার গুয়াহাটি শহরে বসল একটি স্বয়ংক্রিয় বন্যা সতর্কতা ব্যবস্থা।
আইএমডির ওয়েদার ফোরকাস্ট মডেলকে সামনে রেখেই গুয়াহাটির এই ব্যবস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছে। এতে অন্তত তিনদিন আগে থেকে বন্যা পরিস্থিতির আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে সরকারের পক্ষেও নিকাশি ব্যবস্থা পরিচালনা করা সহজ হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যেকোনো মানুষ স্মার্টফোনের সাহায্যেই এই পূর্বাভাস পেতে পারেন।
এর আগে চেন্নাই এবং মুম্বই শহরে নাগরিক বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে মাত্র ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পরের অবস্থার আন্দাজ পাওয়া যায়। ফলে বন্যা আসন্ন জেনেও শেষ পর্যন্ত আর করার কিছু থাকে না। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই সামান্য সময়কেই ব্যবহার করতেও দেখা গিয়েছে মানুষকে। আর এসবের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতা শহরেও অনুরূপ সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা জানানো হয়েছিল। আগামী বছরের শুরুতেই হয়তো তার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু গুয়াহাটিতে তৈরি হওয়া নতুন ধরনের ব্যবস্থা অনেক বেশি কার্যকর। সেইসঙ্গে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রেও জানানো হয়েছে, গুয়াহাটিতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর দেশের অন্যান্য শহরেও অনুরূপ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। কলকাতা কি তাহলে গুয়াহাটির পথেই হাঁটবে? এর উত্তর সময়ই দেবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বিধ্বংসী বন্যায় বিপর্যস্ত বিহার, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ