সাদা তুষারে ছেয়ে গেছে গোটা অঞ্চল। বন্ধ যান চলাচল। বিশাল বিশাল গাছগুলোকেও যেন আপাদমস্তক ছেয়ে ফেলেছে বরফের আস্তরণ। না, রাশিয়া, ইউরোপ কিংবা উত্তর আমেরিকার কথা না। সম্প্রতি এমনই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ব্রাজিল। সাও পাওলো, মিরাস গেরাইস, মাটো গ্রোসো সর্বত্রই একই ছবি। আকস্মিক এই তুষারপাত এবং শৈত্যপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১৯৬৪ সাল। আজ থেকে প্রায় ৬ দশক আগের কথা। শেষবারের মতো তুষারপাত লক্ষ করা গিয়েছিল লাতিন আমেরিকার এই দেশে। সেবার ৪৩টি শহর পুরোপুরি জমাট বেঁধে গিয়েছিল বরফে। কোথাও কোথাও জমেছিল সাড়ে চার ফুট তুষারের আস্তরণ। ব্রাজিলের মতো ক্রান্তীয় দেশে এককথায় এমন ঘটনাকে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। ’৬৪ সালের প্রায় এক যুগ পরে ব্রাজিলে পুনরায় প্রত্যাবর্তন হল সেই ‘হিমযুগ’-এর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর সব মিলিয়ে ব্রাজিলের প্রায় ৪৩টি শহরে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন। তবে আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেই জানাচ্ছে ব্রাজিলের মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। ফলত, আগস্টের শুরুর সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত থাকবে তুষারপাত। ব্রাজিলের বেশ কিছু অঞ্চলে জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েক কোটি টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে গোটা ব্রাজিলজুড়ে।
অন্যদিকে বিরল এই তুষারপাতই ভাবিয়ে তুলেছে পরিবেশবিদদের। গোটা দেশজুড়ে বর্তমানে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে বৃক্ষচ্ছেদন। আর জলবায়ু পরিবর্তনে যে সরাসরি তার প্রভাব পড়ছে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল বিরল এই ঘটনায়। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থেকে ক্রমশ চরমের দিকেই যে ঘেঁষছে দেশের জলবায়ু, সেদিকেই জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। তবে পরিবেশ সংরক্ষণে এখনও পর্যন্ত বিন্দুমাত্র উৎসাহী নয় বলসোনারো প্রশাসন…
আরও পড়ুন
জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতি বছর ৭ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ভারতে
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
গত ৩ দশকে বদলেছে পৃথিবীর অক্ষরেখা, দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন