সারা পৃথিবীতে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ। বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ১০ লক্ষের বেশি মানুষ। স্পষ্ট হয়ে গেছে, টিকা আবিষ্কার না হলে সম্ভব নয় এই সংক্রমণ রোখা। উন্নত দেশগুলি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে এই সংক্রমণ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপে জর্জরিত উন্নয়নশীল দেশগুলি। এর কারণ খুঁজতে গিয়েই নতুন সমাধানের রাস্তার সন্ধান দিল জাতিসঙ্ঘ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের অর্থনীতি তলানিতে এসে ঠেকেছিল বহু আগেই। এবার জাতিসংঘ জানাল, ভাইরাসের মোকাবিলা করতে গেলে সেই অর্থনীতিকেই ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। অন্যথা উপায় নেই। উন্নয়নশীল দেশগুলির নাগরিকদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল নয়। কাজেই তাঁদের এই মহামারীতেও নিরুপায় হয়েই বেরতে হচ্ছে জীবিকার সন্ধানে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে যে সংখ্যাটা কমপক্ষে তিনশো কোটি। দারিদ্র্যের শিকার হওয়া এই মানুষগুলোর আয় নিশ্চিত করতে হবে। একমাত্র তাঁদেরই বাড়িতে রাখা সম্ভব হলে আয়ত্তে আসবে করোনার পরিস্থিতি।
এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে নগদ অর্থপ্রদান, জানাচ্ছে ইউএনডিপি। যা বিশেষভাবে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির জন্য কার্যকারী হতে পারে। ৩০০ কোটি দরিদ্রদের মধ্যে এই মুহূর্তে মোট ২০ হাজার কোটি ডলারের মাসিক সাহায্য পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় পরিস্থিতি জটিল হবে আরও। কেবলমাত্র আয়ের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৩০টি দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ১৬.৭ লক্ষ। ইউএনডিপি’র দেখানো পথে ইতিমধ্যেই হেঁটেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ভয়ঙ্কর রকম ক্ষতিগ্রস্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাছে ৮৫ হাজার কোটি ডলারের অনুদান পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থা। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি এই মডেল আদৌ কি গ্রহণ করবে? সেই প্রশ্নই ঘুরছে দারিদ্র্যকে ঘিরে...
Powered by Froala Editor