‘আছে পকেট... কিন্তু পকেট গড়ের মাঠ’। ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অবস্থা কি অঞ্জন দত্তের এই গানের মতোই এখন? লকডাউনের সঙ্গে লড়াই করতে বেশ বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে রেলকে, তা বোঝা গিয়েছিল আগেই। এবার সরকারিভাবে সেই কথাই স্বীকার করে নিল রেলমন্ত্রক। রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল দেশের সর্বস্তরে।
লকডাউনে রেলের উপার্জন বন্ধ হয়েছে পুরোপুরি। বারবার ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেও ফিরিয়ে দিতে হয়েছে টিকিটের দাম। অন্যদিকে ট্রেন চলাচল থেমে থাকলেও বহন করতে হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন এবং বর্তমান কর্মীদের বেতনের ভার। আর তাতেই কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে রেলের।
রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, শুধু এই বছরের জন্যই ১৫ লক্ষ অবসরপ্রাপ্তদের দিতে হবে ৫৩ হাজার কোটি টাকার পেনশন। এই বিপুল অর্থ কোথা থেকে আসবে তাই এখন অনিশ্চিত। বাধ্য হয়েই তাই অর্থমন্ত্রকের কাছে হাত পাতল রেল। ক্ষতির ধাক্কা কাটিয়ে এই মুহূর্তে পেনশন দেওয়ার মতো তেমন অর্থই নেই রেলের কাছে। অর্থমন্ত্রকের সাহায্য না পেলে বন্ধ হতে পারে পেনশন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের মধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ধার্য রয়েছে ১.০২ লক্ষ কোটি টাকা। পেনশন মেটাতে গেলে ভবিষ্যতে অচল হয়ে পড়বে রেলের পরিকাঠামো। রেলের দাবি, এই অর্থ বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতে দেশের আর্থিক আয়ের সহায়তা করার জন্যই। পরিকাঠামোর উন্নতি হলে মন্দার পরে খুলবে আয়ের রাস্তা।
কিছুদিন আগেই নতুন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া থামিয়ে অবসরপ্রাপ্তদের নতুন করে নিয়োগ করায় রোষের মুখে পড়েছিল রেল। আবার রেলের এই নতুন ঘোষণাতে উত্তেজনা ছড়াল কর্মী এবং পেনশনভোগীদের মধ্যে। একাংশের অভিযোগ পেনশনের টাকা বেতন থেকেই কেটে রাখা হয়। তা আগে থেকেই সরিয়ে রাখা হলে এখন নতুন করে সমস্যা দেখা দিচ্ছে কেন। শুরু হয়েছে নানান মহলে জল্পনা।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বন্ধ করা হবে রেলপথের ৬০০০ স্টপেজ, বেসরকারি মনোভাবেরই লক্ষণ?