আচ্ছা অভিনয়ের জগতে কয়েকজন কিংবদন্তির নাম বললে কার কার নাম মনে আসে? শিল্পের জগতে? নিঃসন্দেহে বলা যায় আপনার মাথায় প্রথম যে নামগুলি আসবে তাঁদের বেশিরভাগই পুরুষ। হয়তো প্রত্যেকেই। সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক জগতে চিরকালই পুরুষের আধিপত্য। এমনকি এই একুশ শতকের দুটি দশক পেরিয়ে এসেও ছবিটা বদলায়নি। সম্প্রতি ইউনেস্কোর একটি রিপোর্টে উঠে এল সেই তথ্যই। আজও লিঙ্গচিহ্নে নারী এবং ভিন্ন যৌনতার মানুষরা সাংস্কৃতিক জগতে জায়গা খুঁজে পান না।
ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে ২০২১ সালকে ‘ইন্টারন্যাশানাল ইয়ার অফ ক্রিয়েটিভ ইকোনমি অ্যান্ড সাবস্টেনশিয়াল ডেভালেপমেন্ট’-এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল আগেই। আর সেই উপলক্ষেই প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ একটি রিপোর্ট। শিরোনাম ‘জেন্ডার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি’। গবেষণার সূত্রে উঠে এসেছে বেশ কিছু বিষয়। এমনকি করোনা অতিমারী সময়ে পুরুষের আধিপত্য আরও বেড়েছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। তবে অন্যান্য সময়েও নারীরা বিশেষ সুযোগ পান না। আর প্রান্তিক যৌনতার মানুষরা তো পানই না। একই কাজের মজুরির ক্ষেত্রেও পুরুষরা অনেকটা এগিয়ে থাকেন। তাছাড়া মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতা দেখা যায় সংস্কৃতির জগতেই।
এই সমস্ত সমস্যার সমাধানের উপায় হিসাবে ইন্টারনেটকে ব্যবহারের কথা বলে থাকেন অনেকেই। এখানে বাহ্যিকভাবে সমান অধিকারের কথা বলা হলেও বাস্তবে বিষয়টি আদৌ ততটা সহজ নয় বলেই মনে করছেন গবেষকরা। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পুরুষের চেয়ে মহিলার সংখ্যা অন্তত ২৫ কোটি কম। আজও পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই সাইবার আইন অত্যন্ত দুর্বল। আর তার ফলেই আরও বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন মহিলারা। এছাড়া অন্যান্য আর্থ-সামাজিক কারণও রয়েছে। বহু মহিলার নিজস্ব উপার্জন নেই। সব মিলিয়ে ইন্টারনেটের জগতে বৈষম্য আরও বেশি। আর অতিমারীর কারণে যেহেতু বাধ্য হয়েই অনলাইন মাধ্যমকে বেছে নিতে হয়েছে, ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতিই আরও খারাপ হয়েছে। এই সমস্যা যে কোনো একটি বা কয়েকটি দেশে সীমাবদ্ধ নয়, সেটাই আবারও প্রমাণিত হল ইউনেস্কোর রিপোর্টে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দ্রুততম মহিলা পর্বতারোহী হিসেবে এভারেস্ট জয় চিনের শিক্ষিকার