পেরিয়ে গেল আরও একটা ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার দিনের উদযাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সারা পৃথিবীর প্রেমিক-প্রেমিকারা। তবে এর মধ্যেই এক ব্যতিক্রমী উদযাপনের পথ বেছে নিলেন ইউক্রেনের এক দম্পতি। তাকে উদযাপন না বলে বরং পরীক্ষা বলাই শ্রেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কে আদৌ কোনো ভাটার টান এসেছে কিনা, সেটাই পরীক্ষা করলেন একটানা তিন মাস ধরে। আর এই পুরো সময় দুজন একে অপরের হাত বেঁধে রেখেছিলেন শিকল দিয়ে।
ঠিক যেন হাতকড়ার মতো করে বাঁধা আলেকজান্ডার এবং ভিক্টোরিয়ার হাত। দুজনের হাত কোনোভাবেই ২ সেন্টিমিটারের বেশি দূরে যেতে পারবে না। এই বন্ধন আসলে তাঁদের ভালোবাসার বন্ধন। ইউক্রেন ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ রেকর্ডসের পক্ষ থেকে ভাইটালি জোরিন তাঁদের এই যৌথ জীবন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনমাস আগে যখন দুজন এসে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান, তখন রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন জোরিন। তারপর তাঁর সামনেই দুজন দুজনের হাত বেঁধে ফেললেন। সেই অবস্থাতেই গাড়ি চালিয়ে চলে গেলেন কিভ শহরে নিজেদের বাসস্থান পর্যন্ত।
এই পরীক্ষার জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে ভিক্টোরিয়া এবং আলেকজান্ডারকে। বিশেষ পোশাক তৈরি করাতে হয়েছে, যাতে হাত বাঁধা অবস্থায় পোশাক বদলাতে সমস্যা না হয়। এমনকি পাবলিক টয়লেটেও যেতে হয়েছে একসঙ্গেই। তাঁদের একসঙ্গে ঢুকতে দেখে রীতিমতো আপত্তি জানিয়েছেন টয়লেটের কেয়ারটেকাররাও। কিন্তু কোনোকিছুই তাঁদের পরিকল্পনার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অবশেষে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন সেই বাঁধন খুললেন ভিক্টোরিয়া-আলেকজান্ডার। তবে এই তিনমাসে তাঁদের সম্পর্ক আরও কাছাকাছি এসেছে বলেই জানাচ্ছেন ইউক্রেনের এই নবদম্পতি। এতদিন তাঁদের জীবনের কোনো মুহূর্তই একার ছিল না। আগামী জীবনটাও এভাবেই কাছাকাছি থাকবেন দুজনে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বাংলার প্রথম বাণিজ্যিক গোলাপ, বাঁকুড়ার ফুলেই ভালোবাসার উদযাপন কলকাতায়