জানা যাবে ভূগর্ভের সূক্ষ্মতম পরিবর্তন! আবিষ্কৃত অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম সেন্সর

পৃথিবীর অভ্যন্তরে ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে টেকটোনিক পাতের অবস্থান। তাছাড়াও পৃথিবীর কেন্দ্রে সর্বদাই ঘূর্ণন হয়ে চলেছে তরল লোহা এবং নিকেল আয়নের। এসব শুধু তত্ত্ব নয়, তার প্রমাণও দিয়েছে বিজ্ঞান। কিন্তু সেই দৃশ্য রয়ে গেছে মানুষের দৃষ্টির গোচরেই। তবে এবার ভূপৃষ্ঠের নিচে ঘটে চলা এসব ঘটনাদের অনায়াসেই পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন গবেষকরা। নেপথ্যে অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম সেন্সর (Quantum Sensor)। 

হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই এক যন্ত্র উদ্ভাবন করলেন যুক্তরাজের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Birmingham University) গবেষকরা। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেই তাঁরা তৈরি করে ফেললেন কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি গ্র্যাডিওমিটার। অভিকর্ষ তরঙ্গ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সূক্ষ্মতম ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনকে অধ্যয়ন করতে সক্ষম এই যন্ত্র। শুধু ভূপ্রাকৃতিক পরিবর্তনই নয়, মাটির নিচে অবস্থিত যেকোনো নির্মাণ, শতাব্দীপ্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক কাঠামোকেও অনায়াসেই চিহ্নিত করতে পারবে সেই অত্যাধুনিক সেন্সর। পূর্বাভাস দিতে পারবে ভূমিকম্প কিংবা আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের।

আগে এই ধরনের বিষয় অধ্যয়নের জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হত, তা শুধু সময়সাপেক্ষই নয়, খরচসাধ্যও বটে। গ্র্যাডিওমিটারের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই তার চিত্রিত রূপ বিশ্লেষণ করতে পারবেন গবেষকরা। কিংবদন্তি উদ্ভাবক ও বৈদ্যুতিক বাল্বের স্রষ্টা টমাস আলভা এডিসনের নামানুসারে গবেষকরা এই যন্ত্রের নাম দিয়েছেন ‘এডিসন মোমেন্ট’। 

সাম্প্রতিক সময়ে কোয়ান্টাম সেন্সিং কিংবা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে গবেষণা চলছে গোটা বিশ্বেই। ক্রমাগত সাফল্যও আসছে পদার্থবিদদের হাতে। তবে ল্যাবরেটরির গণ্ডির বাইরে বৃহত্তরভাবে কোয়ান্টাম সেন্সিং-এর ব্যবহারিক প্রয়োগ এই প্রথম। এই প্রযুক্তির ওপর ভর করে আগামীদিনে পদার্থবিদ্যার পরিকাঠামোই বদলে যেতে পারে, তাতে সন্দেহ নেই কোনো…

আরও পড়ুন
বৃষ্টির সঙ্গে ঝরে পড়ে বহুমূল্য রত্ন, অদ্ভুত গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
২ বছরের মধ্যে ইউএফও-র ছবি তুলে দেখাবেন এই বিজ্ঞানী!