একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও আমরা বৈষম্য থেকে বেরোতে পারিনি এতটুকুও। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুই তার প্রমাণ দিয়েছিল কিছুদিন আগে। সারা পৃথিবীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, কৃষ্ণাঙ্গরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, হয়ে চলেছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। এবার সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে, সম্প্রীতির বার্তা দিতে অনবদ্য উদ্যোগ নিল ব্রিটিশ সরকার। বৈষম্য ঘোচাতে এবার ব্রিটেনের কয়েনে ছাপা হতে চলেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং কৃষ্ণাঙ্গ বিখ্যাতজনের মুখের আদল।
সম্প্রতি কনসারভেটিভ পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভুত সদস্য জেহরা জাইদার এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের কাছে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত অর্থমন্ত্রীও সাদরে গ্রহণ করেছেন এই প্রস্তাবনা। এমনকি তাঁর নির্দেশে টাঁকশালও বানিয়ে ফেলেছে একটা খসড়া। যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টি রয়েছে এখনও পর্যালোচনার স্তরে। তবে তার বাস্তবায়ন হতে চলেছে খুবই দ্রুত, জানান ঋষি সুনক। বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকার সংখ্যালঘু এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সামনের সারিতে প্রতিস্থাপন করাই এর উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
এই তালিকায় রয়েছে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভুতের নামও। নুর ইনায়ত খান এবং খুদাদাদ খান। প্রথম জন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করেছিলেন। শহীদ হয়েছিলেন নাৎসিদের হাতে। দ্বিতীয় জন ছিলেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির একজন উল্লেখযোগ্য সদস্য। পেয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া ক্রস সম্মান। এই দুই বীর যোদ্ধার মুখের আদল যে থাকতে চলেছে ব্রিটেনের নতুন কয়েনে, তা একপ্রকার নিশ্চিতই। এমনটাই জানাচ্ছেন ব্রিটেনের সরকারি সূত্র।
অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের এই সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করছেন অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারাও। যে ব্রিটেনে বৈষম্যের ঘটনা বার বার উঠে এসেছে, সেই দেশেরই এমন এক উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’-এর প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে। এবার খোদ সরকারের এই উদ্যোগে সাধারণের কাছে পৌঁছবে জোরালো বার্তা। ভাঙবে বৈষম্যের বেড়াজাল। সেই সুদিনের ব্যাপারে আশাবাদী সকলেই...
Powered by Froala Editor