তিন বছরের টানাপোড়েনের পর অবশেষে সাঙ্গ হল কাজ। দীর্ঘ ৪৭ বছরের সম্পর্ক ভেঙে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এল ব্রিটেন। গতকাল ঘড়ির কাঁটা রাত ১১টা ছোঁয়ার আগেই ব্রেক্সিটের কথা ঘোষণা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
১৯৭৩ সালে ইউরোপের ইকোনমিক কমিউনিটিতে যোগ দেয় ব্রিটেন। পরে এই কমিটিই ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইউরোপের ২৮টি দেশ এই ইউনিয়নের মধ্যে ছিল। যার অন্যতম সদস্য ছিল ব্রিটেন। সেখান থেকেই এবার বেরিয়ে এল তারা। দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সম্পন্ন হল ‘ব্রিটেন এক্সিট’ বা সংক্ষেপে ব্রেক্সিটের ঘটনা।
২০১৬ সাল থেকে ব্রেক্সিটের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। সেই বছরই জুনে গোটা ব্রিটেনের একটি গণভোটে অধিকাংশই ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তখনই কার্যকর করা যায়নি। কী শর্তে বিচ্ছেদ হবে, এটিই ছিল মূল প্রশ্ন। সেই নিয়েই আলোচনা চলতে থাকে ব্রিটেন আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে। সেই আলোচনাই পুরোপুরি শেষ হল।
তবে পরবর্তী এগারো মাস ট্রানজিশন পিরিয়ডে থাকবে ব্রিটেন। ইইউ-এর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং তাদের আগের মতো টাকাও দিতে হবে। ব্রিটেনের অধিবাসীরা অবশ্য এই সময় ইইউ-এর সমস্ত সুবিধাই পাবে। সেই সঙ্গে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যপদ হারাবে ব্রিটেন। দেশের কোনো এমপি আর এখানে থাকতে পারবেন না। যোগ দেওয়া যাবে না ইইউ সামিটগুলোতে। তবে এবার থেকে বাণিজ্য, শিল্প ও অন্যান্য নীতির ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে ব্রিটেন। আগে এটি করা যেত না। এর ফলে, দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে বলে মনে করছেন অনেকে। ব্রিটেনের পাসপোর্টও ফিরে আসবে সেই পুরনো নীল রঙে। সব মিলিয়ে, নতুন একটি যাত্রার পথে পা বাড়াল ব্রিটেন।