মাস কয়েক আগেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল ব্রিটেনে। কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছিল তারা, এমনকি মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে গোটা ইউরোপের মধ্যে গড়েছিল রেকর্ডও। এবার সেই পরিস্থিতি থেকেই ঘুরে দাঁড়াল দেশটি। ২০২০-র মার্চের পর প্রথমবারের জন্য দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এল শূন্যে। যা কোভিড মোকাবিলার সত্যিই এক নজিরবিহীন উদাহরণ।
এখনও পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে সব মিলিয়ে মারা গেছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার মানুষ। আক্রান্তের সংখ্য ৪৫ লক্ষ ছুঁই ছুঁই। ক্রমশই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলেই জানাচ্ছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে আশানুরূপ পরিস্থিতির মধ্যেই ব্রিটেনের চিন্তা কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ডেলটা স্ট্রেনের প্রাদুর্ভাব। গত একসপ্তাহের আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল কালই। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৪১ জন ব্যক্তি। যার মধ্যে অনেকক্ষেত্রেই ঘাতক হিসাবে ধরা পড়েছে ডেল্টা স্ট্রেন।
কিন্তু কীভাবে সাফল্য পেল ব্রিটেন? উত্তর, সেই ভ্যাকসিনেশনই। গণটিকাকরণের গতিবৃদ্ধির মাধ্যমেই ভাইরাসের সংক্রমণকে সীমাবদ্ধ করেছে ব্রিটেন। সরকারি তথ্য বলছে দেশের তিন-চতুর্থাংশ প্রাপ্ত বয়স্করাই অন্ততপক্ষে টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। এক তৃতীয়াংশ পেয়েছেন দুটি ডোজই। ফলে, একদিকে যেমন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমেছে, তেমনই হ্রাস পেয়েছে মৃত্যুর হারও। সেইসঙ্গে লকডাউন এবং বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে আরও কমিয়ে আনা গেছে সংক্রমণের সংখ্যা।
পরিস্থিতির অবনতি না হলে, আগামী ২১ জুনই লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্কও। যদিও স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড-সহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাষ্ট্রই জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার কথা জানিয়ে রেখেছে আগে থেকেই।
আরও পড়ুন
করোনার বিরুদ্ধে আয়ুধ ‘অ্যান্টিবডি ককটেল’, বঞ্চিত হবেন সাধারণ মানুষ?
আর কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের একশো শতাংশ জনগণের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে বলেই জানাচ্ছে যুক্তরাজ্য। আর তেমনটা হলে খুব শীঘ্রই অনাক্রম্যতা অর্জন করতে পারবে ব্রিটেন। তবে ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হলেও সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে নাগরিকদের, সেই পরামর্শই দিচ্ছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যকর্মীরা। যুক্তরাষ্ট্রের এই মডেল গোটা বিশ্বের কাছেই এক দৃষ্টান্ত…
আরও পড়ুন
করোনাকালে কেমন আছে ‘ভারতের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন গ্রাম’?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
এখনও অবধি করোনা সংক্রমণ শূন্য, অবাক করছে ওড়িশার গ্রাম