দারিদ্র্য সত্ত্বেও আপ্যায়নে ত্রুটি নেই, শরনার্থীদের খোলা দ্বার উগান্ডায়

দিনে দিনে পৃথিবীতে বেড়ে চলেছে শরণার্থী সমস্যা। ২০১৮-এর হিসেব অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩৫ হাজার মানুষকে নিজের ঘর, জায়গা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রথম বিশ্বের কিছু ‘উন্নত’ দেশ যেখানে একে একে তাদের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে, সেখানে এই শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে আফ্রিকা। উগান্ডা সেইরকমই একটি ‘অনুন্নত’ দেশ।

শুধু রোহিঙ্গা নয়, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ থেকেও শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কীরকম আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য এইসব ঘটছে, সেটা আলাদা আলোচনার বিষয়। কিন্তু বিশ্বের তথাকথিত উন্নত দেশগুলি সেই সমস্যা সমাধানে কতটা উদ্যোগী হচ্ছে, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। এমনকি, সেই শরণার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।

এখানেই অন্যতম ব্যতিক্রম হয়ে থেকেছে উগান্ডা। আফ্রিকার এই অনুন্নত দেশটি সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে এই শরণার্থীদের। মূলত সুদান এবং কঙ্গোর শরণার্থীরাই এখানে আসছে। ১৩ লক্ষেরও বেশি শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছে উগান্ডা; যা আফ্রিকার হিসেবে সবথেকে বেশি, এবং বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। উগান্ডার এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।