আমেরিকার বিমানবাহিনীর দুই পাইলট তাঁদের রুটিন অনুযায়ী টহল দিচ্ছিলেন আকাশের বুকে। দুজনেই ট্রেনিং পিরিয়ডের মধ্যে থাকা সেনা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিচ থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ নজর রাখছিল তাদের উপর। এমন সময়েই ঘটে গেল সেই ঘটনা। আকাশের বুকে একটি অদ্ভুত দর্শন আকাশযানের দেখা পায় দুই বিমান। তরুণ পাইলটরা অবশ্য ব্যবস্থা নিতে দেরি করেননি। তাদের আক্রমণে মুহূর্তের মধ্যে পিছু হটে সেই অজানা বস্তুটি। আর সম্পূর্ণ ঘটনাটা ধরা পড়ে নৌবাহিনীর ক্যামেরায়।
এই ঘটনা কোনো কল্পকাহিনি বা গালগল্প নয়। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০০৪ সালে সত্যিই এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। অথচ সেই উড়ন্ত বস্তুটি যে কী, সেই সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা পাওয়া গেল না। অন্য কোনো দেশ তো তাদের দায় স্বীকার করলই না, এমনকি বস্তুটির আকারে ও গঠনেও পৃথিবীর কোনো আকাশযানের সঙ্গে সাদৃশ্য পাওয়া গেল না। তবে কি ভিনগ্রহের কোনো প্রাণী পৃথিবীতে আক্রমণের প্রচেষ্টা করছিল? এমন সম্ভবনাই ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। আর সম্পূর্ণ অভাবিতভাবেই ১১ বছর পর আবারও দুবার ঘটে এমন ঘটনা। এবারেও তা ধরা পড়ে আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্যামেরায়। আর স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য শুরু হয়।
২০১৭ সালে এই ভিডিওগুলি কোনোভাবে প্রকাশ্যে চলে এলে অবশ্য নড়েচড়ে বসে প্রতিরক্ষা বিভাগ। কোনরকম তদন্ত ছাড়া এই ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না, তাই পাবলিক ডোমেইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয় ভিডিওগুলি। তবে সম্প্রতি আবার মার্কিন নেভির ওয়েবসাইটে প্রকাশ পায় তিনটি ভিডিও। এই ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কোনো বিষয় যে জড়িত নেই, সেকথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফ থেকে। তবে তদন্তের ফলাফল নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি তাঁরা।
ভিডিওগুলিতে ধরা পড়া অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলি যে আদৌ কী, সে বিষয়ে নীরব আমেরিকা সরকার। তবে এগুলো যদি পৃথিবীর কোনো আকাশযান না হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এসে পড়ে ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্বের প্রসঙ্গ। আর সেক্ষেত্রে এই প্রথম কোনো সরকারি বা নির্ভরযোগ্য সংস্থার ক্যামেরায় ধরা পড়ল ইউএফও-র ছবি। তাহলে কি প্রমাণ মিলল এলিয়েনদের অস্তিত্বের? চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার আগে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মন্তব্যের জন্য।