দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মানদণ্ডে বিগত কয়েক বছর ধরেই সেরাদের জায়গা ধরে রাখছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যান্য বিভাগ তো বটেই, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটিকেও টেক্কা দিয়েছে। তবে শুধু পাঠক্রমের ভেতরেই নয়। বাইরেও নিজেদের ছাপ রেখে যাচ্ছেন যাদবপুরের শিক্ষক-ছাত্ররা। সম্প্রতি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর একটি বিশেষ প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক-শিক্ষক। আর সেই খবরেই উচ্ছ্বসিত সেখানকার শিক্ষামহল।
চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহে যখন মহাকাশযান বা কোনো রোভার পাঠানো হয়, তখন সুরক্ষার সমস্ত রকম ব্যবস্থাই রাখার চেষ্টা করা হয়। মাধ্যাকর্ষণ, উষ্ণতার তারতম্য ইত্যাদি অনেক বিষয় মাথায় রাখা হয়। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখা হয়, রোভার বা মহাকাশযানটি যেন ওই মাটিতে খুব জোরে যাতে না নামে। তাহলে ভেতরের অত্যাধুনিক সংবেদনশীল যন্ত্রগুলি একটু ঠিক থাকে। চলতি ভাষায় যাকে ‘স্মুদ ল্যান্ডিং’ বলা হয়। সেই কাজেই ইসরোকে সাহায্য করছেন এই দুই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার।
সায়ন চ্যাটার্জি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক। তাঁর সঙ্গে এই বিশেষ প্রোজেক্টে যুক্ত আছেন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ডঃ অমিতাভ গুপ্ত। ইসরোর পরবর্তী অভিযানগুলোয় যাতে তাঁদের মহাকাশযানগুলির ল্যান্ডিং ঠিকঠাক হয়, সেই বিষয়ই কাজ করছেন এই দুই অধ্যাপক। আপাতত ডিজাইন, সিমুলেশন ও টেকনিকাল পার্টের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন তাঁরা। সেটা শেষ হবার পর ফ্যাব্রিকেশন পার্ট শুরু হবে। চন্দ্রযান-৩ তো বটেই, অন্যান্য অভিযানেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। সেই দিক থেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। আর সেটাই রূপ পাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপকের হাতে।
Powered by Froala Editor