রাতের গভীরেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করল রাজধানীর বস্তি অঞ্চলকে। দুটি পৃথক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ছারখার হয়ে গেল অসংখ্য ঘর-বাড়ি। বাস্তুহারা হয়ে বিপন্ন হাজার হাজার মানুষ।
গতকাল রাতেই কেশবপুরের একটি জুতো ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার খবর আসে দমকল কর্মীদের কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ১৫টি দমকলের ইঞ্জিন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ছাই হয়ে যায় ওই কারখানা।
এরই মধ্যে রাত ১২:৫০ নাগাদ দক্ষিণপূর্ব দিল্লির তুঘলকাবাদের বস্তিতে আগুন লাগে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক ঝুপড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ২৮টি দমকলের ইঞ্জিন। হাজির হয় পুলিশ বাহিনীও। জরুরি তৎপরতায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বস্তিবাসীদের। প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াইয়ের পর রাত ৩:৪০ নাগাদ আয়ত্তে আসে আগুন।
তুঘলকাবাদের এই বিধ্বংসী আগুনে ছাই হয়ে গেছে প্রায় ১০০০-১২০০টি বাড়ি। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এখনও। কীভাবে আগুন লাগল সেই বিষয়ই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ এবং দমকল।
দেশে লকডাউনে উপার্জন বন্ধ অধিকাংশ বস্তিবাসীদেরই। নিয়মিত অন্নসংস্থান করতেই হিমশিম খাচ্ছে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষগুলো। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও ছাই হয়ে গেল তাঁদের।
Powered by Froala Editor