হাইড্রো ক্লোরোকুইন রপ্তানি না করলে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুমকি ট্রাম্পের

করোনা ভাইরাসের মহামারীর মুখে দাঁড়িয়ে হাইড্রক্সি ক্লোরকুইনকে 'গেম চেঞ্জার' বলে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এই ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, এমন ইঙ্গিত ছিল ভারতের বিশেষজ্ঞদেরও। আর এই ওষুধকে ঘিরেই শুরু হয় চাপানউতোর। কাঁচামালের যথেষ্ট জোগান না থাকায় হাইড্রক্সি ক্লোরকুইন এবং ২৫টি ফার্মাকিউটিক্যাল যৌগের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত সরকার। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তেই ক্ষুব্ধ হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিলেন প্রচ্ছন্ন হুমকির ইঙ্গিতও।

শনিবার হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়, জরুরি পরিস্থিতিতে যাতে ওষুধের সরবরাহ মসৃণ থাকে, তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইদিনই মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনে কথাও হয়। আর ভারতের এই সিদ্ধান্তে যে তিনি বিস্মিত, সেকথাই জানান তিনি। এমনকি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর চাপের মুখে পড়ে নরম হয়েছে ভারত সরকারও।

মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এমন কতগুলি দেশে ওষুধের সরবরাহ বজায় থাকবে। অর্থাৎ সেই তালিকায় আমেরিকা থাকবে বলেই মনে করা যায়। এখনও অবধি সেদেশে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যাও ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও, চিকিৎসা সামগ্রী এবং টেস্ট কিট রপ্তানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলেই জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। তবে যেকোনো দায়িত্বশীল সরকারের উচিত প্রতিটা দেশে ওষুধের যথেষ্ট সরবরাহ আছে কিনা, সেদিকে লক্ষ রাখা। এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীবাস্তব।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে একাধিকবার। এর মধ্যে আমেরিকার রোষানলে ভারত। চাপের মুখে সুর নরম করলেও ভারতের অবস্থা এখন শাঁখের করাতের মধ্যে থাকার মতো। ভারতের ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলির কাছেও কাঁচামালের যথেষ্ট জোগান নেই। বিপুল চাহিদার কাছে হার মানছে অনেক কোম্পানিই। এই পরিস্থিতিতে শেষ অবধি কী দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর রাখছেন সবাই।

Latest News See More