রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় একটা জিনিস আমরা সকলেই খেয়াল করেছি। বিশাল বিশাল ট্রাকের গায়ে বিভিন্ন সব চিত্র। এইরকম ট্রাক আর্টকেই নতুনভাবে হাতিয়ার করেছেন পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মীরা। এর মাধ্যমেই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মেয়েদের কথা, তাঁদের অধিকারের কথা, শিক্ষার কথা। এইরকমই ট্রাক আর্ট ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে পাকিস্তানে।
কখনও দেখা যাচ্ছে, একটি ছোট্ট মেয়ে হাতে ব্ল্যাকবোর্ড আর বই নিয়ে বসে আছে হাসিমুখে। কখনও দেখা যাচ্ছে মেয়েরা দামি দামি গয়নার বদলে বই আর কলম চাইছে। বিভিন্ন ট্রাকের গায়ে এরকম রঙিন ছবি ফুটে উঠছে ওই দেশে। ২০১৮ সালে প্রথম এর উদ্যোগ নিয়েছিলেন সমর মিনাল্লাহ খান। ট্রাক আর্টের মাধ্যমে পাকিস্তানি মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের কথা, স্বাধীনতার কথা তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি। খাইবার পাখতুন এলাকায় এই উদ্যোগ শুরু করা হয়। শিল্পী হায়াত খানের তুলিতে সেজে উঠতে থাকে এক একটি ট্রাক। প্রতিটা আঁকাতেই ফুটে উঠছে মেয়েদের কথা। সেখানে ছুঁয়ে গেছে তাঁদের বর্তমান অবস্থাও। সেটারই বদল চান সমর মিনাল্লাহ খান। তিনি একা নন, বদল চান পাকিস্তানের হাজার হাজার মেয়েরা। পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে যাঁরা ছড়িয়ে পড়তে চান বিশ্বজুড়ে।
এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও মেয়েদের স্বাধীনতা নিয়ে এখনও উদাসীন বেশ কিছু দেশ, পাকিস্তান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা ছড়ানোর জন্য ট্রাক আর্টকেই বেছে নিয়েছেন সমরের মতো সমাজকর্মীরা। যেতে আসতে, রাস্তায় আমরা সবাই দেখি এই ট্রাকগুলিকে। খেয়াল করি তাদের গায়ে আঁকা ছবিও। সেটাকেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। দিনের শেষে একটাই চাওয়া, শিক্ষার অধিকার পাক সকলে। স্বাধীনতা যেন সবার থাকে।