দুর্গাপুজো আর দশেরা দিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল উৎসবের মরশুম। এবার হাজির দীপাবলি, ছটপুজোর সূচি। আর সেই সঙ্গেই দেখা দিয়েছে এক ধাক্কায় দূষণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা। কর্ণাটক, দিল্লি, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক রাজ্যে দূষণের জন্য বাধ্য হয়েই বন্ধ করা হয়েছে বাজির কেনা-বেচা। আর এই আবহেই বিকল্প পথ দেখাচ্ছে ত্রিপুরা। উৎসবের মরশুম কাটাতে এবার সেখানে অভিনব পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগ।
বছরের পর বছর ধরেই ত্রিপুরার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গেছে বাঁশের ব্যবহার। জলের বোতল থেকে শুরু করে কুকিজ কিংবা ভাত তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় বাঁশ। এবার সেই বাঁশের ব্যবহারেই তৈরি হল প্রদীপ ও মোমবাতি। দূষণ নেই, ব্যবহারের পর নেই অবিয়োজ্য বর্জ্যও।
তবে এই প্রকল্পের অভিনবত্ব শুধু পরিবেশ-বান্ধব বলেই নয়। বরং সম্পূর্ণ প্রকল্পটিই দাঁড়িয়ে রয়েছে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওপরে। মহামারীর আবহে নতুন করে উপার্জনের মুখ দেখছেন তাঁরাও। ত্রিপুরার সিপাহীজালা জেলাতেই শুরু হয়েছে এই প্রকল্প। তবে ধীরে ধীরে অন্যান্য প্রান্তিক গ্রামগুলিতেও নেওয়া হবে এই উদ্যোগ। জানা গেছে এমনটাই।
তবে পুরো পরিকল্পনাই ছিল সিপাহীজালা জেলার জেলাশাসক, বিডিও এবং ক্লাস্টার সমন্বয় কমিটির মস্তিষ্কপ্রসূত। বাঁশ দিয়ে যে মোমবাতি বা প্রদীপ তৈরির কাজও হতে পারে, সেই ধারণা এর আগে ছিল না গ্রামবাসীদের। গত মাসে তাঁরাই প্রস্তাব দেন গ্রামের স্থানীয় মহিলা স্বনির্ভর সমিতিগুলিকে। রাজি হয়ে যান তাঁরাও। বিভিন্ন আকার, ডিজাইন আর মূল্য পরিসীমাতে কেনা যাবে এই ‘বাম্বু দিয়া’। দূষণকে পাশে সরিয়েও কীভাবে উৎসবের মরশুম বজায় রাখা যায়, সেই পথই যেন দেখাচ্ছে উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্যটি...
Powered by Froala Editor