চিকিৎসা পরিকাঠামোর দিক থেকে দেখলে, শহরাঞ্চলের থেকে অনেকাংশেই পিছিয়ে থাকে ভারতের প্রান্তিক অঞ্চলগুলি। বিশেষত উপজাতি-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি উপেক্ষিত হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এবার উপজাতি জনগোষ্ঠীর মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য ওড়িশায় গড়ে উঠতে চলেছে বিশেষ পর্যবেক্ষণকেন্দ্র ‘ট্রাইবাল থেলথ অবজারভেটরি’ (Tribal Health Observatory)। উল্লেখ্য, ভারতে এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম।
সম্প্রতি তফসিলি উপজাতি উন্নয়ন বিভাগ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের আঞ্চলিক কেন্দ্র আরএমআরসি-র মধ্যে সাক্ষরিত হল বিশেষ স্বারক। এই স্মারকচুক্তি মেনেই গড়ে উঠবে এই বিশেষ প্রতিষ্ঠান। তবে শুধু বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবাই নয়, উপজাতি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানান রোগের চরিত্র এবং প্রতিকারের গবেষণাও চলবে ট্রাইবাল হেলথ অবজারভেটরিতে। এমনটাই জানাচ্ছে আইসিএমআর-এর আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই ওড়িশার উপজাতি পরিবারগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য সমীক্ষা চালু করেছে সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংস্থা দুটি। সামগ্রিকভাবে উপজাতি জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নীতিনির্ধারণ করা হবে ট্রাইবাল হেলথ অবজারভেটরি বা স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণাগার। এটিও ওড়িশা তথা ভারতের সর্বপ্রথম উপজাতি স্বাস্থ্য সমীক্ষা। ওড়িশার সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মেডিক্যাল স্কুলগুলির পুনর্গঠনে তৈরি হেলথ প্ল্যাটফর্মের তত্ত্বাবধানেই চলছে এই সমীক্ষা।
ওড়িশা তো বটেই, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার সর্বাধিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রাথমিকভাবে এই রোগের মোকাবিলা করাই লক্ষ্য ওড়িশার। ওড়িশার উপজাতি সেরোসার্ভের ওপর ভিত্তি করে সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার প্রমাণ-ভিত্তিক একটি তথ্যভাণ্ডারের সংকলনও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে আরএমআরসি। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে জানাচ্ছে ওড়িশার স্বাস্থ্য দপ্তর।
ওড়িশার এই মডেল আগামীদিনে গোটা ভারতেরই স্বাস্থ্য পরিষেবার চেহারা বদলে দিতে পারে, তাতে সন্দেহ নেই কোনো…
Powered by Froala Editor