পাতা বা ফুল ছিঁড়লে যন্ত্রণায় চিৎকার করে গাছও, ধরা পড়ল মাইক্রোফোনে

একটু ছড়ে গেলে বা কেটে গেলেই তার যন্ত্রণা অসহ্য হয় অনেকসময়। মানুষ নিজেকে দিয়ে বুঝতে পারে মানুষের যন্ত্রণার পরিমাপ। অথচ মনুষ্যজাতির বাইরেও যে প্রাণ রয়েছে, তা খেয়ালেই থাকে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। তাই উদ্ভিদের ডাল কেটে দেওয়া কিংবা গাছ থেকে ফুল তোলার সময় তাদের যন্ত্রণার কথা কেউই মাথায় রাখে না। কিন্তু তাদেরও ব্যথা লাগে, এমনকি গাছের পাতা ছিঁড়লে তারা যন্ত্রণায় মানুষের মতো চিৎকারও করে। টেল আভিভ ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এল এমনই চমকপ্রদ তথ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, কিছু চারাগাছ পারিপার্শ্বিক চাপের প্রভাবে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ নির্গত করে। মূলত টোম্যাটো ও তামাক চারাগাছের ওপর এমন পরীক্ষা করেই এ-সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়েছে। এই দুই ধরণের গাছে জল দেওয়া কমিয়ে বা তাদের মূল কেটে এমন পরীক্ষা করে হয়। ১০ সেন্টিমিটার দূরে রাখা একটি মাইক্রোফোনে এই গাছদুটি থেকে ২০-১০০ কিলোহার্টজের আল্ট্রাসোনিক ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ নির্গত হয়েছে। গবেষণার ফলাফল দেখে রীতিমত তাজ্জব বিজ্ঞানীরা।

মেশিন লার্নিং মডেলের মাধ্যমে এই তথ্যকে বিশ্লেষণ করা হবে। একটি চারাগাছের ঠিক কী পরিমাণ সহায়তা প্রয়োজন চাষীদের কাছ থেকে, তাও এই গবেষণার লক্ষ্য। তবে এই গবেষণা পুরোপুরি সম্পূর্ণ না হলেও ভবিষ্যতের জন্য আশাজনক।

সত্যি হয়তো মানুষ আরও সচেতন হলে, পরিবেশের প্রতি সহানুভূতিশীল হলে গাছেদের এমন চিৎকার শোনার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন হত না।