কন্যাসন্তান জন্মালেই ভারতের এই গ্রামে লাগানো হয় ১১১টি গাছ

পরিবেশের এমন পরিস্থিতিতে সব জায়গাতেই বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব ঠিক কতটা, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সঙ্গে কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনাও থামানো দরকার। কেমন হয়, যদি এই দুটো একসঙ্গে মিলে যায়? সেরকমই ঘটনা ঘটে রাজস্থানের পিপলান্ত্রি গ্রামে। যেখানে কন্যাসন্তান জন্মালেই গ্রামে লাগানো হয় ১১১টি গাছ!

এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও, ভারতের অনেক জায়গায় কন্যাভ্রূণ হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে। কিছু কিছু পরিবারে আজও মেয়েদের বোঝা মনে করা হয়। কিন্তু রাজস্থানের এই গ্রামটি এক্কেবারে ব্যতিক্রম। এখানে মেয়েদের বোঝা নয়, বরং সম্মান দেওয়া হয়। কোনও কন্যাসন্তান জন্মালেই সেটাকে সৌভাগ্য বলে মনে করা হয়। আর সেই সময়টাকে উদযাপনের জন্য মেয়ে জন্মালেই লাগানো হয় ১১১টি গাছ। কিন্তু ১১১টিই কেন? ভারতীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতিতে ‘১১১’ সংখ্যাটিকে সাফল্যের সূচক হিসেবে দেখা হয়। পিপলান্ত্রি গ্রামের মেয়েরা তাই বোঝা নয়, সাফল্যের প্রতীক।

২০০৬ সালে এই গাছ লাগানোর প্রথা চালু হয়। তখন, গ্রামেরই এক নেতা, শ্যামসুন্দর পালাওয়ালের মেয়ে মারা যায়। তখন, মেয়েকে স্মরণে রাখতে ১১১টি গাছ লাগান তিনি। যে প্রথা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একসময় শুরু হয়েছিল, আজ তা পরিণত হয়েছে নবজাতককে স্বাগত জানানোর উৎসবে। পরিবেশ, গাছ, এবং কন্যা— সমস্তকিছুকে একসঙ্গে, একভাবে উদযাপন করেন গ্রামের বাসিন্দারা।