পৃথিবীর বৃহত্তম গুপ্তধনের ভাণ্ডার! মাসখানেকেই মিলতে পারে হদিশ

আর মাত্র মাসখানেকের অপেক্ষা। তারপরেই পৃথিবীর বৃহত্তম গুপ্তধনের (Largest Treasure) সন্ধান পেতে চলেছেন অনুসন্ধানকারীরা। ফিনল্যান্ডের একটি দল সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে। প্রায় ৩৪ বছর ধরে অনুসন্ধানের পর অবশেষে একেবারে প্রাপ্তির মুখে পৌঁছেছেন তাঁরা, দাবি এমনটাই। এই গুপ্তধনের মোট মূল্য বর্তমান বাজারে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হ্যাঁ, চমকে ওঠার মতোই মূল্য। তাই ফিনিশিয় দলটির এই ঘোষণার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীজুড়ে।

১৯৮৭ সাল থেকে এই গুপ্তধনের অনুসন্ধান করে আসছে ‘টেম্পেল টুয়েলভ’ (Temple Twelve) নামের দলটি। তখন ২৪ জন অনুসন্ধানকারীকে নিয়ে দল গঠিত হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২ জন এখনও রয়েছেন। বাকিরা হয় প্রয়াত হয়েছেন, অথবা অবসর নিয়েছেন। তবে নতুন সদস্যের অভাব হয়নি কখনোই। এই গুপ্তধনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফিনল্যান্ডের প্রাচীন লোককথাও। অনুসন্ধানকারীদের মতে, এই সমস্ত সম্পত্তির মালিক ছিলেন খোদ লেমিনকাইনেন। তবে এই লেমিনকাইনেনের অস্তিত্বের কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফিনল্যান্ডের উপকথায় ছড়িয়ে তাঁর নানা কাহিনি। ফলে এই গুপ্তধনের সময় নির্ণয় যেমন সম্ভব নয়, তেমনই এর অস্তিত্ব সম্পর্কেও সংশয় রয়েছে বেশিরভাগের মনেই।

১৯৮৪ সালে আইওর বক নামের এক যুবক দাবি করেন তিনি লেমিনকাইনেনের বংশধর। তাঁর এই দাবি নিয়ে প্রথমে হাসিঠাট্টাই করেছিলেন সকলে। কিন্তু এরপরেই তিনি এই গুপ্তধনের সন্ধান দেন। সেইসঙ্গে হাজির করেন সেখানে পৌঁছানোর মানচিত্রও। তাঁর বাড়ির একটি অংশের মাটি খুঁড়েই সেখানে পৌঁছাতে হবে। বকের এই দাবির পরে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়। এইসময় ২৪ জন অনুসন্ধানকারী ঠিক করলেন, সেখানে পৌঁছেই দেখা যাক না কী আছে! এভাবেই শুরু হয় টেম্পেল টুয়েলভের যাত্রা। তবে বহু প্রাচীন মানচিত্র দেখে পথ খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। অবশেষে ৩৪ বছর পর লক্ষ্যের কাছে উপস্থিত হলেন তাঁরা।

প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী লিমেনকাইনেনের গুপ্তধনের মধ্যে রয়েছে অন্তত ৫ হাজারটি হিরা, নীলার মতো মূল্যবান রত্ন। এছাড়াও প্রচুর প্রত্নসামগ্রীও থাকা স্বাভাবিক। তবে অন্তিম লক্ষ্যে পৌঁছাতে এখনও বেশ কয়েকমাস লেগে যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন অনুসন্ধানকারীরা। কারণ এই শেষ অংশে এসে একটি গুহা পেরোতে হবে। এই গুহার ভিতরে সারা বছর জল জমে থাকে। আর শীতকালে সেই জল জমে বরফে পরিণত হয়। ফলে শীতকালে এই গুহা পার হওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত গুহার শেষে আদৌ কিছু পাওয়া যাবে কিনা, তাই নিয়েও তৈরি হচ্ছে জল্পনা।

আরও পড়ুন
গুপ্তধনের খোঁজে তালিবানরা; কী এই ব্যাক্ট্রিয়ান গোল্ড?

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ঢিলছোঁড়া দূরত্বে গুপ্তধন? খননে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ