দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি একটি দেশ হত, তাহলে এটি কার্বন নিঃসরণে তৃতীয় স্থান অধিকার করত(২.৮ বিলিয়ন টন)। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকত যথাক্রমে চিন ও আমেরিকা। গার্ডিয়ানের এই রিপোর্ট চিন্তিত করছে সকলকেই। লন্ডনের একটি অলাভজনক সংস্থা চাথাম হাউস জানিয়েছে সিমেন্ট সমগ্র বিশ্বে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইডের মধ্যে ৮% উৎপন্ন করে। পরিস্থিতি যখন সকলেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে, তখন হার্কোর্ট বাটলার টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির রামনশ বাজপেয়ী তাঁর ফাইনাল ইয়ারের প্রজেক্টে ট্রান্সপারেন্ট কংক্রিট বানিয়ে ফেলেছেন। শিল্পের বর্জ্য পদার্থ থেকে তৈরি এই কংক্রিট সিমেন্টের প্রতিস্থাপক হিসেবে ব্যবহৃত হতে করে। বিদ্যুতের বিলও ৩০% হারে কমে যেতে পারে এর ব্যবহারে।
প্লাস্টিক অপটিক্যাল ফাইবার, স্টিল ও শিল্পের বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি এই কংক্রিটের দাম সিমেন্টের থেকে ১৫% কম কিন্তু সিমেন্টের তুলনায় ২৩% বেশি স্থায়ী ও ৫% পরিমাণে হালকা। রমনেশের বক্তব্য অনুযায়ী, এই স্বচ্ছ কংক্রিট দিয়ে তৈরি দেওয়ালে প্রাকৃতিক আলো বেশি পরিমাণে আসবে। কিন্তু তাপ ও জল প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে লিকেজ ও ড্যাম্প হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই কংক্রিট যথেষ্ট তাপ সহনেও সক্ষম।
নিজের খরচের টাকা জমিয়ে রামনেশ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করেছেন। তিনি চান, তাঁর এই কাজ কনস্ট্রাকশন সেক্টরেও প্রয়োগ করা হোক, কিন্তু তার জন্য ইনভেস্টর প্রয়োজন।
তাঁর এই উদ্দেশ্য সফল হলে ভবিষ্যতে আমরা হয়তো আরও আলো-বাতাস পাব চার দেওয়ালের মধ্যে।