রাস্তাঘাটে অথবা ট্রেনের কামরায় আমরা তাঁদের দেখতে অভ্যস্ত। আর সেইসঙ্গে একটা বিশেষ ধরনের হাততালি। ব্যস্ত পথচারীদের কারোর চোখে ঘৃণা, কারোর চোখে অবজ্ঞা, আবার কেউ দেখেন করুণার দৃষ্টিতে। কিন্তু আদৌ মানুষের মর্যাদা পান কি এই প্রান্তিক যৌনতার মানুষরা? আর এই করোনা পরিস্থিতিতেই বা কেমন আছেন তাঁরা? সে খবর আদৌ রাখেন না সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি আধিকারিক কেউই।
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ রেল চলাচল। সড়ক পরিবহনও বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। আর এমন পরিস্থিতিতে রোজগার বন্ধ পরিচিত বৃহন্নলাদের। পড়শি রাজ্য ওড়িশার অর্ধনারীশ্বর কিন্নর মহাসভার সেক্রেটারি সুনিতা জানিয়েছেন, সরকার তাঁদের ভোটাধিকার দিয়েছেন। নাগরিকত্বের কাগজ দিয়েছেন। কিন্তু মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ এখনও মেলেনি তাঁদের। আজও দু-পয়সা রোজগারের জন্য রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয় তাঁদের।
এমনকি অভিযোগ উঠেছে, এই করোনা পরিস্থিতিতেও তাঁরা সরকারের কাছ থেকে ন্যূনতম সাহায্য পাননি তাঁরা। সরকারের স্লোগান যেখানে কাউকেই অভুক্ত রাখা যাবে না, সেখানে কিন্তু এই প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের জন্য প্রায় কিছুই নেই। এমনকি সমীক্ষা বলছে এই দেশে তাঁদের অবস্থা সবথেকে সংকটজনক। এমনকি পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থার সঙ্গেও তুলনা করা যায় তাঁদের। কারোর দিন কাটছে অনাহারে, কারোর আধপেটা খেয়ে। আবার অনেকের সংসারও আছে। এমন পরিস্থিতিতে একটু মানবিক অনুভূতির উষ্ণতা কি দাবি করতে পারেন না তাঁরা?
Powered by Froala Editor