আধুনিক হচ্ছি আমরা। আধুনিক হচ্ছে পৃথিবী। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে পড়লে আমরা সবাই অসহায়। বিজ্ঞানের কোনো আধুনিক উপাদানই কিছুই একে আটকাতে পারেনি। সমের সাম্প্রতিক বন্যায় সেই মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে সহায় হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাচীন ট্র্যাডিশনই। মাচার ওপর তৈরি বাঁশের বাড়ি সমে বহুকাল আগে থেকেই তৈরি হয়ে আসছে। এবার সেই বাড়িগুলোই প্রাণ বাঁচাচ্ছে বহু মানুষের।
বিগত দু’মাস ধরে সমের বন্যা পরিস্থিতি গোটা দেশকে চিন্তায় রেখেছে। শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই খবর। একে করোনার জেরে ভয়াবহ অবস্থা; তার ওপর অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৮টি জলের তলায়! প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, নষ্ট হয়েছে বহু ফসল, সম্পত্তি, জমি। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ বললেও কম বলা হবে…
সেরকমই একটি জায়গা হল অসমের গোলাঘাট। বন্যার জেরে যে জায়গাগুলো সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম। এখানকার বাঁশের তৈরি বাড়িগুলো অদ্ভুতভাবে বন্যার হাত থেকে বেঁচে গেছে। রক্ষা পেয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এর সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেবার আরও একটি বন্যা অসমের ওপর আছড়ে পড়েছিল। তখনই এই রাজ্যের পুরনো সংস্কৃতিকে একটু নতুনভাবে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বাঁশের বাড়ি তো বটেই; তার সঙ্গে যোগ করা হয় বেত আর রাবার। প্রতিটা বাড়ির ভিত কেবলমাত্র কংক্রিট দিয়ে মজবুত করা হয়। যাতে যত বড়ো বন্যাই আসুক, বাড়ি যেন ভেঙে না পড়ে। এই বছর ঠিক সেটাই হল। রক্ষা পেল মানুষগুলো। বাড়িগুলোও বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে রইল।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বন্যা-বিধ্বস্ত আসামের পাশে ইংল্যান্ডের দুই ফুটবল ক্লাব চেলসি ও আর্সেনাল