গত দশ বছরে বিজ্ঞানের কৃপায় আমুল বদলে গেছে যোগাযোগ মাধ্যম। চিঠির দিন আজ আর নেই, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যোগাযোগ করতে পারবেন পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তের মানুষের সাথে, শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোনের সাহায্যে। আর সেই মোবাইল ফোন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হয়েছে আরও আধুনিক, আরও স্মার্ট।
হয়তো বাতিল হয়ে বাড়িতে পড়ে রয়েছে পুরনো আমলের মোবাইল ফোন। নতুন ফোন কিনলেও, হয়ত ফেলে দেওয়া হয়নি। সেই ফোনকে ফেলে না দিয়ে বর্তমানে রেখে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এই বিশ্বায়নের যুগে যখন পৃথিবী অগ্নিগর্ভ তখন প্রকৃতিকে বাঁচাতে দরকার আমাদের প্রত্যেককেই।
রেইন ফরেস্ট এক বিচিত্র জায়গা। সেখানে ঘন গভীর বনে পাখি, জন্তু জানোয়ারের ডাক, পোকার ডাক পার করে জানা অসম্ভব জঙ্গলের কোন প্রান্তে বেআইনি ভাবে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।
অবিশ্বাস্য লাগলেও, ধুলোয় ঢাকা পড়ে থাকা আপনার পুরনো মোবাইলটি হয়তো এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এমনটাই দাবি বোর্নিওর ইঞ্জিনিয়ার টফার হোয়াইটের।
জঙ্গলে পায়ে হেঁটে ঘোরার সময় কয়েক ফুট দূরত্বে রেঞ্জার স্টেশন থেকে এক কাঠুরে বেআইনিভাবে গাছ কাটছে। হোয়াইট শুনতে চাইছেন এই গাছ কাটার শব্দ এবং চোরাশিকারিদের পদচারণা।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির চ্যানেলে হোয়াইট তাঁর এই আবিষ্কারের কথা জানান। ফোনটির মধ্যে নতুন করে হার্ডওয়ার ইনস্টল করার পর, রেইন ফরেস্টের একটি গাছের সঙ্গে আটকে রাখা হবে ফোনটি। সোলার প্যানেলের সাহায্যে কন্ট্রোলরুমে তথ্য পাঠাবে ফোন, আর চোরাশিকারীদের অবস্থান জানাতে সাহায্য করবে।
রেইন ফরেস্টকে নতুন জীবন দিতে পারে আপনার পুরনো ফোন। রেইন ফরেস্ট কানেকশনে পাঠিয়ে দিন সেই ফোন। যদি ফোনটি নির্দিষ্ট কাজে নাও লাগে, তবুও এই প্রজেক্টে আপনার সহায়তা ভুলবে না রেইন ফরেস্ট। রেইন ফরেস্ট কানেকশন ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন। পৃথিবীর বিশ শতাংশ অক্সিজেন প্রদান করে রেইন ফরেস্ট, তাই তাকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের আশু কর্তব্য।