বধির ও দৃষ্টিহীন হয়েও পৃথিবীর ১৩০টি দেশে ঘুরেছেন টনি

প্রতিটা মহাদেশেই একবার অন্তত তাঁর পা পড়েছে। ঘুরেছেন অনেক দেশেই। অন্ধ এবং বধির হলেও তাঁর মনের খিদে কখনও কমেনি, আজও। তিনি, টনি জাইলস। 

টনির যখন দশ বছর বয়স, তখন থেকেই তাঁর চোখে অন্ধকার নেমে আসে। তার আগে থেকেই কানে শুনতে পেতেন না। সেই সমস্যা এত জটিল, যে অত্যাধুনিক হিয়ারিং যন্ত্র লাগিয়েও সম্পূর্ণ কাটেনি বধিরতা। শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, একটা সময় প্রবল মানসিক অশান্তিতে দিন কেটেছিল টনির। সেই সময় এই ভ্রমণের নেশা তাঁর জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসে। ছোটবেলায় বাবার শোনানো গল্পগুলোর স্মৃতিতে ভর করে তিনি বেরিয়ে পড়েন। ব্যস, সেই শুরু।

তারপর থেকে এখন ৪১ বছর বয়সি টনি সুযোগ পেলেই ব্যাগ গুটিয়ে বেছে নেন পছন্দের ডেসটিনেশন। মনের সমস্ত অশান্তি ধুয়ে দিতে ভ্রমণকেই ‘ওষুধ’ হিসেবে নেন তিনি। রাশিয়া, গ্রিস, এমনকি অ্যান্টার্কটিকাও ছুঁয়ে এসেছেন টনি। মোট ১৩০টিরও বেশি দেশ ঘুরে বেরিয়েছেন। এই ভ্রমণই তাঁকে খুঁজে দিয়েছে তাঁর মনের মানুষের সঙ্গে। এখন স্বপ্ন, পৃথিবীর প্রতিটা কোণায়, প্রতিটা দেশ ঘুরে বেড়ানোর। চোখে না হোক, স্পর্শ করে অন্তত পৃথিবীটাকে চিনে নিতে চান টনি জাইলস।