পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে নায়ক এবং খলনায়ক দুজনেরই অবাধ বিচরণ। মহাকাশের প্রেক্ষাপটেই লেখা চিত্রনাট্য। অবলিভিয়ন সিনেমাটির কথাই ধরা যাক। এমন সিনেমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন সবাই। শুধু শেষে একটাই আক্ষেপ থেকে যায়। সিনেমায় দেখানো দৃশ্য যেন মহাকাশের সঙ্গে ঠিক মেলে না। কিন্তু যদি দর্শকদের সামনে এমন কোনো সিনেমা হাজির করা যায়, যার দৃশ্য আসলে মহাকাশেই ক্যামেরাবন্দি করা? অবাক হবেন নিশ্চই! হ্যাঁ, এবার এমন অবাক করা ছবিই উপহার দিতে চলেছেন মার্কিন অভিনেতা টম ক্রুজ।
টম ক্রুজের সঙ্গে এই সিনেমা তৈরির কাজে হাত মিলিয়েছে নাসা এবং আমেরিকার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা স্পেস-এক্স। মঙ্গলবার এই সিনেমার পরিকল্পনার কথা জানান নাসার অধিকর্তা জিম ব্রিডেনস্টাইন। পৃথিবী থেকে ১২০০ মাইল উপরে এই সিনেমার শ্যুটিং হবে। আর সিনেমার গোটা টিমকে মহাকাশে নিয়ে যাবে স্পেস-এক্স সংস্থার রকেট। যদিও এই সংস্থা এখনও অবধি মহাকাশে কোনো যাত্রী পরিবহন করেনি, তবে এই মাসের ২৭ তারিখেই হবে মহড়া। আর সেই সময়েও উপস্থিত থাকবেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এমন ঐতিহাসিক সিনেমার পরিকল্পনাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সংস্থান কর্ণধার এলোন মাস্ক নিজেও।
সিনেমার মহাকাশে অ্যাকশনের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন দর্শকরা। আর বাস্তবের মহাকাশই যদি নেমে আসে সিনেমার পর্দায়, তাহলে সেটা একটা বাড়তি পাওনা তো অবশ্যই। তবে এখানেই শেষ নয়। এই কর্মকাণ্ড যদি সফল হয়, তাহলে হয়তো সাধারণ যাত্রীদের জন্যও খুলে দেওয়া হবে স্পেস স্টেশন। অন্তত নাসা সূত্রে এমন পরিকল্পনার কথাই জানানো হয়েছে। আর তাহলে মহাকাশের টিকিট কেটে এক বেলার চড়ুইভাতি সেরে আসতে পারেন আপনিও। তবে টম ক্রুজের এই সিনেমাকে ঘিরে এখন একটাই প্রতিবন্ধকতা। হলিউডের কোনো স্টুডিও এখনও মহাকাশে গিয়ে সিনেমার চিত্রায়ণ করতে রাজি হয়নি। এই ছোট্ট সমস্যাটার সমাধান হলেই বড় পর্দায় আসতে চলেছে মহাকাশে চিত্রায়িত বিশ্বের প্রথম অ্যাকশন মুভি।