মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়েই সেজে উঠছে ক্রিসমাস ট্রি, সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ ইন্দোনেশিয়ায়

ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে বড়োদিন। আর তার জন্যই জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। শিয়রে মহামারী, কিন্তু তা বলে কি বড়োদিনের সজ্জায় কমতি থাকতে পারে? অন্যান্য বছরগুলির মতোই তাই সাজছে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সুরাবয়া ক্যাথলিক চার্চ। তবে সেই সজ্জা এবছর একেবারে অন্য। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে অভিনব পন্থা নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার এই চার্চ কর্তৃপক্ষ।

ইন্দোনেশিয়ার এই ক্যাথলিক গির্জায় প্রতিবছরই তৈরি করা হয় ৯ মিটার উচ্চতার একটি ক্রিসমাস ট্রি। বাঁশের কাঠামোর ওপরে কাগজ, রিবন, বল সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে বানানো হয় এই গাছ। বহু বছরের প্রথা মেনেই এই গাছ তৈরি করেন গির্জার অনুগামী এবং স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। 

চলতি বছরেও অন্যথা হয়নি তার। তবে রূপ একেবারে বদলে গেছে এই গাছের। সজ্জার দায়িত্বে থাকা স্থানীয়রা মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়েই এবছর সাজিয়ে ফেলেছেন গাছটিকে। গত এক সপ্তাহের পরিশ্রমের পর সম্প্রতি সম্পূর্ণতা পেয়েছে এই ক্রিসমাস ট্রি। 

রবিবার ইন্দোনেশিয়ার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড ছোঁয়। একদিনে মারা যান ২২১ জন মানুষ। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা রবিবার গিয়ে দাঁড়ায় ১৯,৮৮০। কিন্তু এতকিছুর পরও সচেতন হচ্ছেন না ইন্দোনেশিয় নাগরিকরা। মাস্কের ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন অনেকেই। কিংবা শুধুমাত্র প্রশাসনের ভয়েই শহরের কিছু অংশে ব্যবহার করা হচ্ছে মাস্ক, স্যানিটাইজার। তাছাড়া কেউ সচেতনভাবে ব্যবহার করছেন না মাস্ক। সেইসঙ্গে সরকারিভাবে বিধি-নিষেধ খানিকটা শিথল করার জন্য অনেকেই ধরে নিয়েছেন, করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে সচেতনা গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন গির্জার ফাদার মার্কাস মার্সেলিনাস হার্ডো ইসওয়ান্তো।

বিশ্বের সর্বোচ্চ মুসলমান জনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইন্দোনেশিয়া জুড়েই পালিত হয় বড়োদিন। সরকারিভাবে থাকে ছুটিও। তবে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ সংকটজনক হতে চলেছে ইন্দোনেশিয়ায়। মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাও। সে কারণে সরকারিভাবে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে শহরের জনসমক্ষে উৎসব পালন না করার জন্য। কিন্তু সে নির্দেশিকা তোয়াক্কা না করেই মানুষের ঢল নামছে রাস্তায়। প্রশাসনিক স্তরে কাজ না হওয়ায় এবার মানুষকে সচেতন করতে তাই অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে সুরাবয়া ক্যাথলিক...

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১ কোটি ছাড়াল করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা, আরোগ্য আর কতদূর?