বাঁশের কেল্লার কথা মনে করায় ইন্দোনেশিয়ার ‘গ্রিন স্কুল’

তিতুমিরকে মনে আছে? ইতিহাসের বইগুলোতে তাঁর সংগ্রামের কথা আমরা সব্বাই পড়েছি। একইসঙ্গে পড়েছি তাঁর বিখ্যাত ‘বাঁশের কেল্লা’র কথা। সেটা ঠিক কীরকম ছিল, সেটা আমরা কেউই জানি না। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের গ্রিন স্কুল দেখলে বাঁশের কেল্লার কথা মনে পড়তে বাধ্য। কারণ, এই স্কুল ক্যাম্পাসের বাড়িগুলো পুরোটাই তৈরি হয়েছে বাঁশ দিয়ে!

বালির উবুদ গ্রামের খুব কাছেই এই গ্রিন স্কুল। দেখতে দেখতে দশ বছর অতিক্রম করে ফেলা স্কুলটি সংবাদের শিরোনামে এসেছে বেশ কয়েকবার। আজকের এই আধুনিক পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে, যেখানে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাবাচ্ছে পরিবেশ, সেখানে বহুদিন ধরে চলা এই বাঁশের তৈরি স্কুল সত্যিই অভূতপূর্ব। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জন হার্ডিও শুরু থেকেই এই পরিবেশকে মাথায় রেখেছিলেন। কাছের মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য উপাদান পেয়েছিলেন বাঁশ। প্রায় স্টিলের সমান শক্তিশালী হয়েও বাঁশ স্টিলের থেকে ছয়গুণ বেশি হালকা। এর থেকে ভাল বাড়ি তৈরির কাঁচামাল বোধহয় আর পেতেন না জন। এখন তাঁর তৈরি সেই বাড়ি শুধু পরিবেশগত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ তাই নয়, স্থাপত্যবিদ্যার দিক থেকেও সমান গুরুত্ব। এই প্রসঙ্গে পাঠকের মনে পড়বে বাংলায় পূজা-পার্বণে বাঁশের তৈরি অস্থায়ী মণ্ডপগুলোর কথা। এইরকম একটি স্থায়ী ছাদ যদি এখানেও তৈরি করা যায়, তাহলে কেমন হয়?