করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ের মধ্যেই সুখবর এল দেশবাসীর কাছে। পুলিৎজারের পালক জুড়ল ভারতের মুকুটে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয় এই পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা। সেখানে ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে উল্লেখিত হয়েছে মুখতার খান, চান্নি আনন্দ এবং দার ইয়াসিন - এই তিন ভারতীয় চিত্রগ্রাহকের নাম।
গত বছর ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হয় কাশ্মীরে। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ, দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল কাশ্মীরে। অস্থির হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। বন্ধ করা হয়েছিল ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক পরিষেবাও। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অ্যাসোসিয়েট প্রেসের এই তিন চিত্রসাংবাদিক নিজের কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। কখনও লুকিয়ে থাকতে হয়েছে স্থানীয় আবাসিকদের বাড়িতে। তবুও বিপদের পরোয়া না করেই, ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরের জীবনযাত্রা। কাশ্মীরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সহিংস বিদ্রোহ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও সেনার কার্যকলাপ বন্দি করেছিলেন ক্যামেরার লেন্সে।
মহামারীর কারণে সারা বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। তাই সপ্তাহ দুয়েক দেরি হল এই পুরস্কারের তালিকা প্রকাশে। বাতিল করা হয়েছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরষ্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিক সভাও। পুলিৎজারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডানা ক্যান্ডি সোমবার ভিডিও কনফারেন্সেই এই সুখবর জানান। পুরস্কার ঘোষণার পরই শুভেচ্ছাবার্তার জোয়ারে ভেসে যান ওই তিন সাংবাদিক।