বছর তিনেক আগের কথা। ২০১৯ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাই ছিল শেষ কোনো ভারতীয়ের নোবেল পদকজয়। তবে আগামী বছরে নোবেল পদকের তালিকায় আবারও দেখা যেতে পারে কোনো ভারতীয়ের নাম। ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে সেই সম্ভাবনাই। সম্প্রতি, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ভারতীয় সমাজকর্মী তথা লেখক হর্ষ মন্দার (Harsh Mander)। পাশাপাশি অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের (Md Zubair) এবং প্রতীক সিনহাও (Prateek Sinha) মনোনয়ন পেয়েছেন শান্তি পুরস্কারের জন্য।
বিগত কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করে চলেছেন সমাজকর্মী হর্ষ মন্দার। কারওয়ান-ই-মহব্বত— হর্ষের প্রতিষ্ঠিত এই প্রচারাভিযান রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে ভারতের বুকে। দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদদেরও। নির্ভীক সমালোচনার জন্যই নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভারতীয় লেখক তথা সমাজকর্মী। অন্যদিকে ইয়েলো জার্নালিজমের যুগেও, স্বচ্ছ সংবাদ পরিবেশনের জন্য মনোনীত হয়েছেন অল্ট নিউজের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
সম্প্রতি পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ ওসলো থেকে প্রকাশিত হয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়নের এই সংক্ষিপ্ত তালিকা। পিআরআইও পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবছরই মনোনয়ন জমা পড়ে নোবেল কমিটির কাছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সংস্থাও সম্ভাব্য নোবেলজয়ীদের মনোনয়ন জমা দেন সুইস সংস্থাটির দপ্তরে। ঠিক সেভাবেই নরোয়েজিয়ান নোবেল কমিটির থেকে মনোনীত হয়েছেন বেলারুশের বিরোধী দলনেত্রী স্বেতলানা টিকানোভস্কায়া। স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পথে নেমেছিলেন তিনি। সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেরিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নির্বাচনে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে সে-দেশের সরকার।
আগামী অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হবে নোবেলজয়ীদের তালিকা। তখনই জানা যাবে শেষ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার উঠছে কার হাতে। তবে বিগত কয়েক বছরে ওসলো’র সংস্থাটির প্রস্তাবিত প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেরই নোবেল জয়ের রেকর্ড রয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে স্বচ্ছ সাংবাদিকতায় জোর দিতে দেখা গেছে নোবেল কমিটিকে। কাজেই ধর্মীয় মেরুকরণ এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য হর্ষ মন্দার, মহম্মদ জুবায়ের এবং প্রতীক সিনহার নোবেল জয়ের সম্ভাবনা প্রবল, তা বলার অপেক্ষা থাকে না…
আরও পড়ুন
আইনস্টাইনের ‘বাস্তবতা’-কে চ্যালেঞ্জ ভারতীয় গবেষকদের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
সবুজ বিপ্লবের নেপথ্যে তিনি, মরণোত্তর পদ্মভূষণ ভারতীয় গবেষকের