লকডাউন ক্রমশ শিথিল হয়ে এলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্ক এখনও পিছু ফিরছে মানুষের। আর তাই রাস্তায় বেরোতে গেলে প্রয়োজন মাস্ক। আগামী কিছুদিন এটি মানুষের পোষাকের একটা অপরিহার্য অঙ্গ হয়েই থেকে যাবে। তবে এই পোশাককে নিয়ে সমস্যাও তো প্রচুর। বিশেষত, মুখ যদি মাস্কে ঢাকা থাকে, তাহলে একজন মানুষকে চেনা যাবে কী করে? তবে এই সমস্যার সমাধান করেছেন কেরালার একজন ডিজিট্যাল ফটোগ্রাফার। তাঁর তৈরি মাস্ক পড়ার পরেও ব্যক্তির মুখ পুরোটাই দেখা যাবে।
কেরালার কট্টায়াম জেলায় একটি স্টুডিও চালান ৩৮ বছরের বিনেশ জি পল। আর করোনা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ব্রেক দ্য চেইন প্রকল্পের অংশ হিসাবে তিনি সেই স্টুডিওতে বিক্রি করছেন মাস্ক। তবে এই মাস্কের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এর উপরে মানুষের মুখ ছাপা থাকবে। যে কেউ নিজের পছন্দমতো ছবি দিতে পারেন বিনেশ পলকে, অথবা তিনি নিজেও স্টুডিওতে ছবি তুলে নিতে পারেন। তারপর সেই ছবি কিছু অ্যাডজাস্টমেন্টের পর ছাপা হবে কাপড়ের মাস্কের উপর। তাহলেই সেই মাস্ক পড়ার পরেও ব্যক্তির মুখ পুরোটাই দেখা যাবে। আর এই কাজে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। মাস্কের দামও বেশি নয়। মাত্র ৬০ টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করা যাবে এই মাস্ক।
এটিএম, এয়ারপোর্ট বা পরীক্ষার হল, সব জায়গাতেই পরিচয়পত্রের সঙ্গে মুখের ছবি মিলিয়ে দেখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু মাস্ক ব্যবহারের ফলে এই সমস্ত ক্ষেত্রেই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কেরালার এই ফটোগ্রাফারের সমাধান আদৌ গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। অবশ্য সেইসঙ্গে প্রত্যহিক জীবনের অঙ্গ হিসাবে মাস্ককে গ্রহণযোগ্য করে তোলাও জরুরি। দেখা গিয়েছে কোথাও মানুষ মাস্কের উপর এঁকেছেন সিনেমা তারকাদের ছবি, কোথাও কোনো সুপারহিরোর মুখ। কোচির নৌবাহিনীতে তো ইউনিফর্মের অংশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে নীল-সাদা মাস্ক। তবে বিনেশের এই উদ্যোগ যে অনেক বেশি মানুষের নিজের চরিত্রের কাছাকাছি, সেকথা বলাই বাহুল্য। আর তাই সামাজিক মাধ্যমেও তাঁর এই উদ্যোগ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
Powered by Froala Editor