ধর্ম যাই হোক না কেন, উৎসব সবার। তাই সে উৎসব উদযাপনে কোনো বাধা নেই মানুষের। তাই বছরের শেষ মাসটিতে এই দিনটির অপেক্ষা করে সমস্ত শিশুই। পঁচিশে ডিসেম্বর, অর্থাৎ বড়দিন আসতেই স্বপ্ন দেখে সান্তাবুড়োর থেকে উপহার পাওয়ার। কিন্তু বহু শিশুর কাছে তা স্বপ্নই থেকে যায়, দারিদ্র্যের কারণে জোটে না কোনো উপহার। সেসব বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটাতে বাস্তব জীবনের সান্টাক্লজ হয়ে উঠলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ জিম অ্যানিশ।
পেশায় তিনি একজন সৈন্যদলের পশুচিকিৎসক। কিন্তু গরীব বাচ্চাদের আনন্দ দিতে, এই বিশেষ দিনটিতে তাদের খুশি করতে গত পঞ্চাশ বছর ধরে শিশুদের জন্য কাঠের খেলনা তৈরি করছেন তিনি। প্রতিবার বড়দিনে প্রায় একশোটি খেলনা তৈরি করেন নিজেই।
স্যালভেশন সৈন্যরা সারাবছর গরিব মানুষের সেবার করার জন্য নিজেদেরকে নিযুক্ত রাখে। জিম তাঁর নিজের বানানো প্রায় তিনশো কাঠের খেলনা দান করলেন স্যানফোর্ডের স্যালভেশন সৈন্যদের।
খেলনা বানাতে প্রায় হাজার ডলার খরচা করেন তিনি। প্রতিবেশীদের থেকে কাঠের টুকরো ইত্যাদি জোগাড় করে বানিয়ে ফেলেন এই উপহার। নিজের জীবনে ছিল দারুণ অভাব, তাই আগামী প্রজন্ম যাতে কষ্ট না পায়, তা থেকেই এমন প্রয়াস জিমের।
তাঁর বানানো কাঠের খেলনার মধ্যে রয়েছে নানা ধরণের পুতুল, পিগি ব্যাঙ্ক, লরি ইত্যাদি। আমৃত্যু এই কাজ করে যাওয়াই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। নয়া প্রজন্মের কাছে ‘সান্টাক্লজ’ হয়ে ওঠার এই সৌভাগ্য কেউ ছাড়তে পারে বুঝি?