আজ থেকে প্রায় ৬ হাজার বছর আগে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে জন্ম নিয়েছিল প্রাচীন মেসোপটেমিয়া বা সুমেরীয় সভ্যতা। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতাগুলির নাম করতে গেলে মেসোপটেমিয়ার নাম করতেই হয়। কিন্তু ৬ হাজার বছর পরেও যে তার ধ্বংসস্তূপ প্রায় অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যাবে, এমনটা ভাবতে পারেননি অনেকেই। সম্প্রতি ইরাকে একটি খননকার্যের পর তাই স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেইসঙ্গে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে যে সুমেরীয় সভ্যতা সম্পর্কে নানা তথ্য জোগাড় করতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন প্রত্যেকেই, সেকথা বলাই বাহুল্য।
মনে করা হয় প্রাচীন প্রস্তরযুগ থেকেই এই অঞ্চলে মানুষের বসবাস শুরু হয়। ক্রমশ সভ্যতার উন্নতি ঘটতে থাকে। আজ থেকে ৬ হাজার বছর আগে, অর্থাৎ ৪ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দেই নাগরিক জীবনে প্রবেশ করেন মেসোপটেমিয়ার মানুষ। বাইবেলের নানা কাহিনি থেকেও তেমনটাই জানা যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তির পর থেকেই এই অঞ্চলে নানা প্রাচীন প্রত্নসামগ্রীর সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে। আজ থেকে ১৫০ বছর আগে শেষ বড় খননকার্যে একটি নগরের ধ্বংসাবশেষের সংকেতও পাওয়া যায়। সেই থেকেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করতেন একদিন আস্ত একটা নগরের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যাবে। অবশেষে সেই বিশ্বাস সত্যে পরিণত হল।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, এখনও অধিকাংশ বস্তুতে জলবায়ু পরিবর্তনের ছাপ পড়েনি। আজও ইরাকের এই অঞ্চলে উষ্ণতা সবসময় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। এই ৬ হাজার বছরে আবহাওয়া তেমন বদলায়নি। ফলে ইতিহাসের অনেক দলিল হয়তো হারিয়ে যায়নি আজও। সঠিকভাবে খননকার্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে সমস্তই জানা যাবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কলকাতার প্রাচীনতম রাস্তার সঙ্গে জড়িয়ে বর্গি আক্রমণের ইতিহাস