ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০ শতাংশের শরীরেই মিলেছে ভাইরাস, দাবি স্বাস্থ্য দপ্তরের

একদিকে লকডাউন কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে জনজীবন, আর অন্যদিকে নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশের যে কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে বেড়েছে সংক্রমণ, তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। কোনোদিন ৪০০, কোনোদিন তারও বেশি মানুষের শরীরে ধরা পড়ছে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। আর এর মধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের সাম্প্রতিক ঘোষণায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ১৫ দিনে দ্বিগুণের বেশি হয়ে গিয়েছে। আর এর মধ্যে আরও বড় চিন্তার বিষয় হল, আক্রান্তদের ৫৬ শতাংশই কিছুদিনের মধ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিক।

কোয়ারেনটাইনের উপযুক্ত নিয়ম না মেনেই অনেক পরিযায়ী শ্রমিক মিশে যাচ্ছেন গ্রামের জনজীবনে। আর এর ফলে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। যেসব গ্রামীণ অঞ্চল এতদিন করোনার প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিল, সেখানেও ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। আর এইসব গ্রামীণ অঞ্চলকে সুরক্ষিত করতে না পারলে বাংলাকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারি হিসাবে বিগত কিছুদিনে ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরেছেন সাড়ে ৬ লক্ষের কিছু বেশি শ্রমিক। বাকিরা ফিরেছেন বাসে অথবা পায়ে হেঁটে, কিম্বা নিজেদের উদ্যোগে। আর এইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০ শতাংশের শরীরেই মিলেছে করোনা ভাইরাস। কিন্তু কোনরকম উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, সংক্রমণ যতটা বেড়েছে, মৃত্যু সেই পরিমাণে বাড়েনি। জেলায় জেলায় সুস্থ হওয়ার হার বেড়েছে অনেকটাই। তাছাড়া রাজ্যের ৮৭৮৫টি কোভিড স্পেশাল শয্যার ৭৫ শতাংশই এখনও খালি। তাই পরিকাঠামোগত কোনো সমস্যার মুখে বাংলাকে এখনই পড়তে হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
দেশে একদিনে করোনায় মৃত ২০০০, চিন্তায় চিকিৎসকরা