রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে পিসিআর যন্ত্র দিচ্ছে পুরুলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদের শিরোনামে আবারও উঠে এল পলাশের দেশ পুরুলিয়া। মহামারীর আবহে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াল পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাণী ও উদ্ভিদবিদ্যার গবেষণাগারে ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর যন্ত্র সাময়িক ব্যবহারের জন্য রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ক্রমাগত পরীক্ষা এবং সংক্রমিতদের পৃথকীকরণ। এই পদ্ধতি দ্রুত গতিতে চলতে থাকলে তবেই একমাত্র কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়াকে আটকানো সম্ভব। আর তার জন্যই বাড়ানো দরকার পরীক্ষার হার। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তার প্রেক্ষিতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পিসিআর যন্ত্রের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে হাসপাতালগুলিতে। চিকিৎসার পাশাপাশি এই যন্ত্র কাজে লাগে জীববিদ্যার গবেষণায়। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই কম-বেশি রয়েছে এই পলিমার চেন রিঅ্যাকশন যন্ত্র। কিন্তু লকডাউনে কার্যত বন্ধ রয়েছে কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিগুলির ল্যাবরেটরি। তাই সম্প্রতি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে। অনুমতি চেয়েছিল এই যন্ত্রগুলির সাময়িক ব্যবহারের জন্য।

স্বাস্থ্য দফতরকে নিরাশ করেনি পুরুলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণাগারে থাকা দুটি পিসিআর যন্ত্রই শীঘ্র পাঠানো হবে এসএসকেএম হাসপাতলে, জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর। রাজ্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও। তাদের পাঠানো পিসিআর যন্ত্র ইতিমধ্যেই ব্যবহৃত হচ্ছে হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য। ফলে বেড়েছে পরীক্ষার হার। প্রতিদিন সম্ভব হচ্ছে ৭-৮ হাজার নমুনার পরীক্ষা করতে।

লকডাউনের শুরুতেই সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উদ্যোগ নিয়েছিল মাস্ক তৈরি করে বিনামূল্যে প্রদান করার। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও পরীক্ষাগারেই বানিয়েছিল সহজলভ্য স্যানিটাইজার। এবার আবারও করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে এল পুরুলিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের একের পর এক মানবিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে, কোনোরকম কুর্নিশই যথেষ্ট নয়!

Latest News See More