রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০১৯ সালটিকে ‘দেশীয় বা আঞ্চলিক ভাষার বছর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যেই লাতিন আমেরিকার একটি জনগোষ্ঠী এখনও তাঁদের নিজস্ব ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিদিন লড়াই করে যাচ্ছেন। ইকুয়েডরের এই সাপারা জনগোষ্ঠীর কাছে এই লড়াই শুধু তাঁদের ভাষাকে বাঁচানোই নয়, একই সঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষা এবং জঙ্গল বাঁচানোর লড়াইও।
আমরা নিজেদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করার জন্য বেশিরভাগ সময়ই প্রযুক্তির কাছে ফিরে যাই। কিন্তু এই সাপারা গোষ্ঠীর মানুষেরা তাঁদের ব্যবহার্য সমস্ত জিনিসই প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করেন। ইকুয়েডরের ঘন জঙ্গল বিশ্বের অন্যতম বড় জীব বৈচিত্র্যের জায়গা। সেখানে এই সাপারাদেরও অন্যতম ভূমিকা আছে। আর এই পুরো সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের ভাষা। তাঁরা মনে করে, এই ভাষা তাঁদের গাছ-জন্তুদের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটায়। আজ সেই ভাষাই বিপদে পড়েছে। এখন পৃথিবীতে সাপারা জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা ৪০০। তাঁদের মধ্যে অল্প সংখ্যকই সাপারা ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, তাঁদের পর হয়ত আর কেউ এই ভাষায় কথা বলবে না।
ফলে তাঁদের জনগোষ্ঠীর গল্প এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু হারিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, হয়ত এই ঘন জঙ্গলও হারিয়ে যাবে। খনিজ সম্পদের লোভে তখন ঝাঁপিয়ে পড়বে ধনতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা। তাই প্রতিদিন চেষ্টা চলে বেঁচে থাকার, বাঁচিয়ে রাখার।