শীতের আমেজ, সোনালি তরল আর বিশ্বের ‘প্রাচীনতম’ পাব

সবেমাত্র শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। এইসময় পাবে পাবে ভিড় বাড়ে চোখে দেখার মতো। আর যদি সেটা পুরনো এথনিক কোনও পাব হয়, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু সেটাই যদি প্রায় এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো হয়! আয়ারল্যান্ডের সিন’স বার সেইরকমই একটি সহস্রপ্রাচীন বার।

১৯৬৮ সাল। সিন ফিটজসিমন্স বলে এক ভদ্রলোক পাবের ব্যবসা চালাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সেই সূত্রেই আয়ারল্যান্ডের একটি পুরনো পাবের সন্ধান পান। যথারীতি কিনেও নেন। পরে পাবটিকে সংস্কার করতে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড় তাঁর। ভেতরে যে সমস্ত আসবাব আছে, তার গঠন, সাজসজ্জা সব যেন কিছুতেই খাপ খাচ্ছে না। সেখানে সবকিছুতেই ছোঁয়া রয়েছে ইতিহাসের। পাওয়া যায় পুরনো আমলের কয়েন। এমনকি, পাবের কিছু দেওয়ালকে জল নিরোধক রাখার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল। বহু গবেষণার পর, রহস্য কিছুটা সামনে এল। এই পাবটা তৈরির সময় আনুমানিক ৯০০ খ্রিস্টাব্দ। সেই সময় লুয়াইন নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী আয়ারল্যান্ডের বিখ্যাত শ্যানন নদীর ধারে একটি বার এবং পান্থশালা তৈরি করেন। মূলত এমন চমৎকার অবস্থানের জন্যই তাঁর ব্যবসা বাড়তে থাকে। সমৃদ্ধশালী হতে থাকে দোকানটি। আর এই সবকিছুই সেই দশম-একাদশ শতকের ঘটনা।

সেই তখন থেকেই এর টিকে থাকা শুরু। আজও যা আছে একইভাবে। নামটা বদলেছে শুধু। এসেছে সম্মানও। ২০১৪ সালে সিন’স পাবকে ইউরোপের প্রাচীনতম পাবের তকমা দিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন পাবও একে মনে করেন। ভিড়ও হয় চোখে দেখার মতো। একইসঙ্গে ইতিহাস আর বারের এমন ককটেল আর কোথায় পাওয়া যাবে বলুন!