একাকিত্বে ভুগছেন আমেরিকার প্রবীণতম নাগরিক

একা একা খেতে ভালো লাগে না। মাঝেমধ্যে কয়েকজন বন্ধুকেও তো নিমন্ত্রণ করা যায়। বাড়ির মধ্যে সারাদিন এমনই অভিযোগ করে চলেছেন ১১৪ বছরের থেলমা সাটলিফ। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর শারীরিক নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই। আর তাই বাইরের কাউকে তাঁর কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। জীবন সায়াহ্নে এসে এই একাকিত্বই তাঁর অভিযোগ। আর এইসব অভিযোগের মধ্যেই আমেরিকার বরিষ্ঠতম নাগরিকের স্বীকৃতি পেলেন নেব্রাস্কা স্টেটের ওমাহা শহরের বাসিন্দা থেলমা।

১৭ এপ্রিল বার্ধক্যজনিত কারণে ক্যারোলিনা নিবাসী হেস্টার ফর্ডের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৫ বছর। হেস্টারের মৃত্যুর পরেই আমেরিকার বরিষ্ঠতম নাগরিকের স্বীকৃতি পেলেন থেলমা। অবশ্য এসব তিনি এখন আর খুব একটা বুঝতে পারেন না। ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি সবই কমে আসছে। তবে তিনি জানেন, করোনা নামক মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীজুড়ে। কারণ এই অতিমারীর জন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৃদ্ধাবাস। ফলে তাঁকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাই যেন মনে মনে বেশ খুশি তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন থেলমার আত্মীয়া লুয়েলা ম্যাসন।

১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর জন্ম থেলমা সাটলিফের। দুটি বিশ্বযুদ্ধ চোখের সামনে দেখেছেন তিনি। আর এই মহামারীর সময়ও পেরিয়ে যাবেন বলেই আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন। তখন বাড়িতে ডেকে নেবেন সমস্ত পরিচিত বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে। সবার সঙ্গে জমিয়ে খেতে বসবেন ডাইনিং টেবিলে। তিনি নিজে হয়তো বেশি খেতে পারবেন না। তাতে কী? গল্পগুজব তো চলবেই। জীবনের শেষ লগ্নে এসে একাকিত্ব যে সবাইকেই গ্রাস করে। তবুও জীবনের আশা এখনও হারিয়ে ফেলেননি থেলমা সাটলিফ। কিছু প্রিয় মুখকে দেখতে পাওয়ার মধ্যেই বেঁচে থাকার সার্থকতা।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
এক দশকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পারকিনসনের, দায়ী শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য