মঙ্গলের লবণাক্ত জল থেকেই মিলবে অক্সিজেন, নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীর

২০০৮ সালে নাসার ফিনিক্স মিশন মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে পেয়েছিল জলের সন্ধান। আর তার পর থেকেই মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব কিনা, তাই নিয়ে প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রাণধারন সম্ভব হলেও তা খুব স্বাভাবিক উপায়ে হবে না। তার জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তির সাহায্য। আর সম্প্রতি ওয়াসিংটন ইউনিভার্সিটিতে বসে ভারতীয় বিজ্ঞানী বিজয় রামানির নেতৃত্বে সেই প্রযুক্তির দিকেই আরও একধাপ এগিয়ে গেল মহাকাশবিজ্ঞান।

মঙ্গলের লবণাক্ত জল থেকে বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরির নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বিজয় রামানির নেতৃত্বাধীন দল। সম্প্রতি ‘প্রসিডিংস অফ ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণাপত্র। এর ফলে মঙ্গলে বসবাসের জন্য অক্সিজেন যেমন পাওয়া যাবে, তেমনই জ্বালানি হিসাবে পাওয়া যাবে হাইড্রোজেন। অবশ্য ইলেক্ট্রোলাইসিসের এই প্রক্রিয়া একেবারে নতুন নয়। ইতিমধ্যে নাসার পার্সিভারেন্স রোভারের জন্য ‘মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু ইউটিলাইজেসন এক্সপিরিমেন্ট’ বা মক্সি নামের প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে নাসা। কিন্তু তার থেকেও ২৫ গুণ দক্ষতার সঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আলাদা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজয় রামানি।

মঙ্গলের প্রায় সর্বত্র উষ্ণতা হিমাঙ্কের নিচে। কিন্তু তার মধ্যেও বেশ কিছু জায়গায় জল তরল অবস্থায় আছে। আর তার কারণ জলে ম্যাঙ্গানিজ ঘটিত লবণের আধিক্য। ঠিক এই কারণেই সেখানে ইলেকট্রোলাইসিসের মতো প্রক্রিয়া বেশ জটিল। তবে ওয়াসিংটন ইউনিভার্সিটির পরীক্ষাগারে -৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় ম্যাঙ্গানিজ মিশ্রিত জলের ইলেকট্রোলাইসিস করে দেখিয়ে দিয়েছেন বিজয় রামানি। পরবর্তী অপেক্ষা শুধু সেই পরীক্ষাকে সফলভাবে মঙ্গলের মাটিতে সম্পাদন করা। সেটা সফল হলে মহাকাশবিজ্ঞানের জগতে আবারও উল্লেখযোগ্য হয়ে থেকে যাবে এক ভারতীয় বিজ্ঞানীর নাম।

Powered by Froala Editor