গ্রামের প্রায় সব জায়গাই ঢেকে আছে সবুজে। তবে নিছকই কি সবুজ? সেখানেই লুকিয়ে আছে আরও একটা আশ্চর্য। এই সমস্ত গাছই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর তাই বাংলাদেশের রংপুর জেলার পেটভাটা গ্রাম এখন পরিচিত ‘ঔষধি গ্রাম’ নামে।
গ্রামে ঢুকলেই দেখা মিলবে অশোক, চিরতা, তেজবল, অর্শগন্ধা, কালোমেঘ, বাসক ইত্যাদি বহু প্রজাতির আয়ুর্বেদিক গাছের। গ্রামের ডাক্তাররা প্রায় প্রত্যেকেই কবিরাজ। ওষুধ তৈরির জন্য নিজেদের জমিতে, এমনকি বাড়ির মধ্যে, ছাদে এই সমস্ত গাছের চাষ করেন। সেখান থেকেই ওষুধ তৈরি করে রোগীদের দেন। গ্রামবাসীদের বাইরে কোথাও আর চিকিৎসার জন্য যেতে হয় না। শুধু কবিরাজরাই নন, গ্রামের সাধারণ মানুষরাও এর প্রয়োজনীয়তা বুঝেছেন। তাই নিজেরাও চাষ শুরু করেছেন এই গাছগুলোর। আস্তে আস্তে এই কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ঔষধি গ্রামে। এমনকি এখান থেকে রংপুর, ঢাকার আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানাতেও এই গাছের অংশ সরবরাহ করা হয়। একই সঙ্গে গ্রামের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ— সবকিছুই হাত ধরাধরি করে আছে এই পেটভাটা গ্রামে। অন্যান্য গ্রামগুলিও এই পন্থা অবলম্বন করতে শুরু করেছে।