জাপানের হাচিকোর গল্প আমরা কে না জানি! দীর্ঘ ৯ বছর মনিবের জন্য একটানা অপেক্ষা করেছিল সেই পোষ্য সারমেয়। আমৃত্যু। সেই কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাও। হাচিকোর সেই গল্পকেই আরও একবার মনে করিয়ে দিল অনুগত জার্মান শেফার্ড লিয়া। যদিও হাচিকোর মতো তাকে অপেক্ষা করতে হয়নি দীর্ঘদিন। তার গল্পের পরিসমাপ্তিও একেবারেই হৃদয়বিদারক নয়। বরং বেশ আনন্দময়ই।
কেটি স্নাইডারের কাছেই ছোট থেকে বড় হয়েছে লিয়া। তবে এপ্রিল মাসে দিন কতকের জন্য বাবার কাছেই লিয়াকে রেখে গিয়েছিলেন কেটি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আর ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি তাঁর কাছে পোষ্যকে। এরই মধ্যে সম্প্রতি ঘটে যায় একটি বিপত্তি। চল্লিশতম বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেটির বাবা। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বেশ কয়েকদিনই বিধিনিষেধের কারণে হাসপাতালে দিন কাটাতে হয় তাঁকে।
হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার সময় কেটির মা প্রতিদিনই লক্ষ করেছেন, মনিবের জন্য দরজার সামনে মাথা নিচু করে অপেক্ষারত লিয়া। তার মাথায় হাত বুলিয়ে ডেকে নিলেও চট করে সে সরে আসছে না দরজার সামনে থেকে। লিয়ার এই আচরণের ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতেই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই।
কেটি জানান, জার্মান শেফার্ড টয় ব্রিড নয়। ফলে লিয়া খুব যে আদুরে, তেমনটা নয়। বরং স্বতন্ত্র লিয়া যে কাউকেই নিশ্চুপে অনুষঙ্গ দিতে পছন্দ করে। কয়েকমাসের মধ্যেই তাঁর বাবার প্রতি লিয়ার এমন গভীর ভালোবাসাই বিস্মিত করে তুলেছে কেটিকে।
আরও পড়ুন
দিল্লিতে পথের কুকুরদের জন্য তৈরি হল বিশেষ শ্মশান, ভারতে প্রথম
সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেও ফিরেছেন কেটির বাবা। আনন্দ সহকারেই তাঁকে আবার স্বাগত জানাতে ছুটে গিয়েছিল জড়িয়ে ধরল লিয়া। যেন এক আত্মিক যোগ। লিয়াকে তার প্রিয় মনিবের থেকে সরিয়ে নিয়ে আসাও যে অপরাধ বৈকি। তাই বাবার কাছেই পোষ্যকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেটি...
আরও পড়ুন
একটি কুকুরকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচাল আরেকটি কুকুর, অনন্য নজির কলকাতায়
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
নিজে একবেলা খেয়েও পোষ্য কুকুরদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন চেন্নাইয়ের মহিলা