প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ কাইউম, শোকার ছায়া বাংলাদেশের শিক্ষামহলে

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের পর আরও এক নক্ষত্রপতন ঘটল বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণার জগতে। ১২ জুন ৮৭ বছর বয়সে মারা গেলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ কাইউম। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে নিজের বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
 

১৯৩৩ সালে সাহিত্যিক প্রকাশক মোহাম্মদ কাসেমের পরিবারে জন্ম মোহাম্মদ কাইউমের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর কাইউম পারি দেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে। তারপর সেখানে ভাষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো শেষ করে পরবর্তী জীবন শিক্ষকতা এবং গবেষণায় ন্যস্ত ছিলেন। প্রথমে করাচির ইসলামিয়া কলেজ থেকে পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং অবশেষে ১৯৭৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন অধ্যাপক কাইউম। সেখান থেকেই অবসর নেন ১৯৯৫ সালে।

শিক্ষকতা থেকে অবসর নিলেও অবশ্য গবেষণার কাজ থেকে থাকেনি। যদিও নজরুল গবেষক এবং অভিধান বিশেষজ্ঞ হিসাবেই তিনি বেশি পরিচিত, তবে তাঁর গবেষণায় জায়গা করে নিয়েছে পাণ্ডুলিপি পাঠ, সংবাদপত্র সহ বিচিত্র বিষয়বস্তু। অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে যৌথভাবে সম্পাদিত 'আলাওল রচনাবলী' তাঁর অমর কীর্তির একটি। এছাড়াও সারা জীবনে প্রায় ৩০টি গবেষণামূলক বই এবং অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

অধ্যাপক কাইউমের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশের বিদ্যোৎসমাজ। শুক্রবার রাতে শোকপত্র প্রকাশ করেছেন বাংলা একাডেমির ডিজি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সেই সূত্র থেকে জানা যায়, বয়সের কারণে দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেও অজানা তথ্য অনুসন্ধানের চেষ্টা থেমে থাকেনি কখনও। অবশ্য এবার তাঁর অনুসন্ধান শেষ। বরং তাঁর জীবনের মধ্যেই এক বিস্ময়কর প্রতিভার অনুসন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক এবং গুণগ্রাহী মানুষ।

আরও পড়ুন
নতুন প্রজাতির পলিকীটের সন্ধান বাংলাদেশে, নামকরণ করা হল শেখ মুজিবের নামে

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে আটাত্তর বছর, জন্মশতবর্ষে সোমেন চন্দকে ভোলেনি বাংলাদেশ