শিক্ষা পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তর। এবার থেকে ডিজিটালে পড়ুয়াদের শব্দ উচ্চারণ, বাক্য গঠন-সহ বিভিন্ন জিনিস শেখানো হবে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্কুল এবং সেখানকার পড়াশোনাকে আরও আকর্ষণীয় করতেই এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূলত ইংরেজি শিক্ষার ওপরেই প্রথমে জোর দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক - দুই জায়গাতেই যাতে এটা শুরু করা যায়, তারই প্রচেষ্টা করছেন তাঁরা। তবে এখনই সব জায়গায় শুরু করা হবে না। পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ১৬টি প্রাথমিক স্কুল ও ১৩০টি মাধ্যমিক স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে, প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পড়ুয়াদের পড়ানো হবে। এর জন্য ওই স্কুলগুলির বাছাই করা শিক্ষকদের ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে। পাইলট প্রোজেক্ট সাফল্য পেলে, সব জায়গাতেই এটি শুরু করা হবে। একজন পড়ুয়াকে বানান, বাক্য গঠন থেকে শুরু করে গল্প-কবিতা পাঠ সব কিছুই শেখানো হবে এর মাধ্যমে। দেখা ও শোনা — দুভাবেই শেখানো হবে তাদের। আধুনিক পদ্ধতিতেই যাতে সমস্তটা হয়, সেটাই দেখবেন তাঁরা।
গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে এই নতুন বিষয়টি যে ছাত্রছাত্রী এবং তার অভিভাবকদের কাছেও সমাদর পাবে, তা নিয়ে আশাবাদী রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। এমনিতেও, একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে সমস্ত জায়গাই ডিজিটাল হচ্ছে। ক্লাসের পড়াশোনা যাতে আরও আকর্ষণীয় ও চিত্তাকর্ষক হয়, তার জন্যই এই চেষ্টা। এমনিতে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হয়েছে প্রায় সব স্কুলেই। এবার শিক্ষা পদ্ধতিকেও ‘স্মার্ট’ করার লক্ষ্যে প্রশাসন।