শব্দের গতিবেগ কত? এই প্রশ্নে অনেকেই এক ঝটকায় বলে উঠবে ৩৪০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। কিন্তু তাই কি? শব্দের এই গতিবেগ আসলে বায়ুতে। তাও স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে। মাধ্যমের পরিবর্তন, উষ্ণতা এবং চাপ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে থাকে এই গতিবেগ। কিন্তু সর্বোচ্চ কত হতে পারে শব্দের গতিবেগ? তার এতদিন কোনো সদুত্তর দিতে পারত না বিজ্ঞান। এবার সেই ধাঁধার সমাধান করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীতে উপস্থিতি পদার্থদের মধ্যে হিরেতে শব্দের বেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এর থেকেও দ্বিগুণ বেগে ছুটতে পারে শব্দ তরঙ্গ। সম্প্রতি এমনটাই জানালেন বিজ্ঞানীরা। শব্দের সর্বোচ্চ বেগ নির্ধারিত হল ৩৬ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড। সম্প্রতি সায়েন্স অ্যাডভান্স বিজ্ঞান পত্রিকায় এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস পিকার্ড।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, এই সর্বোচ্চ গতিবেগ কোন মাধ্যমে? উত্তর শুনলে একটু অবাকই হবেন সকলে। হাইড্রোজেনে। হ্যাঁ, হাইড্রোজেনেই। তবে গ্যাসীয় নয়, কঠিন হাইড্রোজেনে। প্রায় ১০ লক্ষ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয় হাইড্রোজেন। বৃহস্পতি কিংবা শনির মতো গ্যাসীয় গ্রহগুলির কেন্দ্রে বায়বীয় চাপের পরিমাণ এমনটাই থাকে। ফলে সেখানে শব্দের এই গতিবেগ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের।
তবে এই ঘটনার কারণের সঙ্গে জুড়ে আছে মৌলের কেন্দ্রীয় রহস্য। অর্থাৎ পদার্থের অণুর এবং প্রোটন-ইলেকট্রনের ভরের অনুপাতের ওপর নির্ভরশীল শব্দের গতিবেগ। এই দুই প্যারামিটার প্রোটন ক্ষয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন নক্ষত্রের কেন্দ্রকীয় বিক্রিয়ায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু শব্দের ক্ষেত্রেও যে প্রভাব রয়েছে তার। তা কার্যত অবিশ্বাস্য ছিল এতদিন। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরেই পর্দা পড়ল সেই রহস্যে।
আরও পড়ুন
এবার ক্যানসার রুখবে ব্যান্ডেজ, যুগান্তকারী আবিষ্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
সূর্য, পৃথিবী-সহ গোটা সৌরজগতটাই সরিয়ে অন্যত্র বসাতে চেয়েছিলেন এই বিজ্ঞানী!