তছনছ বোটানিক্যাল গার্ডেন, রেহাই পেল না ২৭০ বছরের পুরনো বটগাছটিও

বয়স কম হয়নি। কম ঝড়-ঝাপটা বয়ে যায়নি তার ওপর দিয়ে। ১৭৩৮, ১৮৪৮, ১৮৬৯ সালের সুপার সাইক্লোনেও কাবু হয়নি বোটানিক্যাল গার্ডেনের দীর্ঘ ২৭০ বছরের পুরনো মহীরুহ দ্য গ্রেট ব্যানিয়ান। কিন্তু আমফানের কাছে অবশেষে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হল এই গাছটি৷ উপড়ে গেছে গাছটির একাধিক গুঁড়ি, ভেঙে পড়েছে গাছের ঝুরিও৷ ঝড়ের দাপটে শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে এক আধিকারিকের পক্ষ থেকে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঝড়ের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি গোটা রাজ্য৷ ১০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে ঝড় হওয়ায় তছনছ হয়ে গেছে বহু বাড়িঘর, গোটা রাজ্যে একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে ৫০০০-এরও বেশি সংখ্যক গাছ।

বোটানিক্যাল গার্ডেনের এই গাছটি ছিল গোটা দেশের গর্ব। সাইক্লোনের দাপটে ভেঙে পড়েছে গাছটির একাধিক ঝুরি। এমনকী গাছটির উত্তর-পশ্চিম অংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে একটি বিশাল গহ্বর৷ এত বছরের গরিমা যেন এক নিমেষেই ধ্বংস হয়ে গেল প্রকৃতির কাছে।

প্রায় ১৫০০০টিরও বেশি গাছ রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। এখানে, কিন্তু ঝড়ের দাপট এমনই ছিল যে প্রায় ১০০০টির কাছাকাছি গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গেছে। কান্ড সমেত উপড়ে গেছে ১০০টিরও বেশি গাছ৷ একশো বছরের পুরোন বাওয়াব গাছ, ম্যাড ট্রি সহ বহু গাছ মাটি উপড়ে পড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিশাল বিশাল মেহগনি গাছও, কোনোটার ডাল ভেঙে গেছে কিংবা উপড়ে গেছে মাটির থেকে৷

একেবারে শুরুর দিক থেকে গার্ডেনের সঙ্গী ছিল দ্য গ্রেট ব্যানিয়ান৷ একাধিক গুঁড়ি উপড়ে যাওয়ায় চিন্তিত পরিবেশবিদরা। আমফানের দাপটে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোটা ব্যোটানিকাল গার্ডেনই, কিন্তু এত বছরের পুরনো গাছটির যন্ত্রণায় কাতর অনেক প্রকৃতিপ্রেমীই।

ছবি - প্রতীকী